রোমহর্ষক এক কাহিনীর বিবরণ দিলেন অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। সম্প্রতি তাঁর আগামী ছবি রিলিজ হতে চলেছে যার নাম কাবেরী অন্তর্ধান। যেখানে অভিনয় করেছেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। যিনি কাবেরী চরিত্রে অভিনয় করছেন এবং প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় রয়েছেন নকশাল সমর্থক এক চিত্রকরের চরিত্রে। সিনেমাটি হল একটি প্রেমের কাহিনী।
তবে এই প্রেম কাহিনী সম্পূর্ণ অন্যরকম কারণ নকশাল সম্প্রদায়ের দাপটে যখন উত্তাল গোটা বাংলা সেই সময়ের পটভূমিতে দাঁড়িয়ে একটি ভিন্ন স্বাদের প্রেম কাহিনী এটি অর্থাৎ নিঃসন্দেহে বলাই যেতে পারে আর পাঁচটা বাঙালির সিনেমার একঘেয়েমি গল্পের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।
ভিন্ন স্বাদের গল্প আর এই গল্পের সাথে সাথে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় তাঁর নিজের জীবনের কিছু অভিজ্ঞতাও শেয়ার করলেন যাতে জানা গেল তাঁর জীবনের নকশালদের প্রভাব। কারণ তিনি জানান ৭০ এর দশকে যে সময় সারা বাংলা উত্তাল নকশালদের হুঙ্কারে সেই সময়ই তাঁর বেড়ে ওঠা।
আরো খবর: ঘর থেকে বে’র হওয়ার সময় আ’গে কোন পা রাখা খুবই শু’ভ?
তাঁর বাবাকে অর্থাৎ বিশ্বজিত চট্টোপাধ্যায়কে প্রায়শই অভিনয়ের জন্য কাটাতে হতো বাড়ির বাইরে। সেই সময়ে ছোট ছোট দুই ছেলে মেয়েকে নিয়ে তার মা রত্না চট্টোপাধ্যায় থাকতেন টালিগঞ্জের বাড়িতে। অত বড় বাড়িতে যেখানে সন্ধ্যে হলেই নেমে আসে লোডশেডিং এর ঘন অন্ধকার এবং চারিদিকে শুধুমাত্র গুলি বোমা এবং সাইরেনের আওয়াজে গর্জে উঠত।
তাই সেই আতঙ্কিত পরিবেশ ছেড়ে তাঁরা রাতারাতি চলে এলেন দমদমের বাড়িতে, তার মামার বাড়িতে। এমনকি তিনি তাঁর এই উত্তাল সময়ে তাঁর নিকট আত্মীয়কে পর্যন্ত হারিয়েছেন, তার ফলে তাঁর বেড়ে ওঠা নানান প্রতিকূলতার মধ্যেই। তাই কাবেরী অন্তর্ধান রিলিজের আগে এ যেন এক চিরন্তন সত্যের সম্মুখীন হলাম আমরা।