নেই প্রশিক্ষিত শিক্ষকের কোন শংসাপত্র অথচ বহু বছর ধরেই স্কুলে চাকরি করছেন। কিছুদিন আগেই গোটা ব্যাপারটি প্রকাশ্যে আসে যার ফলে কুড়ি বছরের বেতন ফিরিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। ঘটনাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। কয়েক মাস আগে থেকেই এসএসসি সংক্রান্ত নানা দুর্নীতির মামলা প্রকাশ্যে এসেছে তারপরে একাধিক ভুয়ো শিক্ষকের পর্দা ফাঁস হয়েছে। সেই গল্পের আরেকটি একটি অধ্যায় চলল উড়িষ্যার জাজপুরে।
অভিযুক্ত সেই শিক্ষকের নাম প্রশান্ত কুমার সুর তিনি চাঁদপুরের বালিপাতানা উচ্চ প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক জানা যায় তিনি ১৯৯২ সালে তার বাবার মৃত্যুর পরে পূনর্বাসনের প্রকল্পের অধীনে তিনি এ সহকারী শিক্ষকের কাজ পেয়েছিলেন। এরপরেই এলাহাবাদের হিন্দি সাহিত্য সম্মেলন থেকে তিনি শংসাপত্র পান যেটি দেখানোর পরে তাকে প্রশিক্ষিত শিক্ষকের আওতায় আনা হয় এবং মাসের পর মাস বেতন দেওয়া হয়।
প্রশান্তর দাবি ছিল তার পাওয়া এই শংসাপত্র টি প্রশিক্ষিত শিক্ষকদের শংসাপত্রের সমতুল্য। এই শংসাপত্র অনুযায়ী তিনি কুড়ি বছর ধরে স্কুলে চাকরি করছেন এবং প্রশিক্ষিত শিক্ষকের স্কেলে বেতন পাচ্ছিলেন।
আরো পড়ুন: পদ্মায় মিললো ১৫ কেজির পাঙ্গাশ মা’ছ, দা’ম শুনেই মা’থা’য় হাত সকলের
কিছুদিন আগেই দা ন্যাশনাল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিউরো এবং জয়পুরের সামাজিক অপরাধ বিভাগ দাবি করে জানিয়েছেন যে, প্রশান্ত যে শংসাপত্র নিয়ে চাকরি করছেন সেটি আসলে প্রশিক্ষিত শিক্ষকের সমতুল্য নয়। গোটা ব্যাপারটি অবশ্যই শিক্ষা অধিকর্তাদের নজরে আসা প্রয়োজন।
এরপরেই শিক্ষা অধিকর্তার তরফ থেকে প্রশান্তর চাকরির বিষয়ে তদন্ত শুরু করা হয় এই তদন্তের পরবর্তীকালে শিক্ষা আধিকারিক জানান যে, এই শংসাপত্র প্রশিক্ষিত শিক্ষকদের শংসাপত্রের সমতুল্য নয় সঙ্গে তাকে নির্দেশ দেওয়া হয় কুড়ি বছরের বেতন যেন ফিরিয়ে দেওয়া হয় সরকারকে।