সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

প্রদোষ ব্রত: এ জন্মের পা’প থেকে পাবেন মুক্তি, কা’ট’বে চন্দ্রদোষ, এই ম’ন্ত্রে পুজো করুন শিবের

শুক্লপক্ষের অথবা কৃষ্ণপক্ষের ত্রয়োদশী তিথি প্রদোষ ব্রত উদযাপন এর জন্য সঠিক বলে বিবেচিত হয়। সপ্তাহের যে বারে এই তিথি পড়ে, সেই বারের নাম অনুযায়ী প্রদোষ ব্রত চিহ্নিত করা হয়। আজ এই ব্রত সোমবারে পড়েছে, তাই এটিকে আখ্যা দেওয়া হয় প্রদোষ ব্রত নামে। সোমবার যদি এই ব্রত করে তাহলে একটু বিশেষ মর্যাদা অনুযায়ী এদিকে গণ্য করা হয়। এই ব্রতের আরাধ্যা সপরিবার হরগৌরী, আজ শিবের বিশেষ প্রিয় একটি দিন। যার নাম অনুসারে এই বার চিহ্নিত করা হয়েছে, সেই চন্দ্রদেব এই ব্রত উদযাপন করে মুক্তি পেয়েছিলেন ক্ষয় রোগ থেকে।

যিনি নিষ্ঠা সহকারে সংযম অবলম্বন করে এই ব্রত উদযাপন করেন, হরগৌরীর কৃপায় তারপর পূর্ব জন্মের এবং ইহজন্মের সমস্ত পাপ ধ্বংস হয়ে যায়। একইসঙ্গে চন্দ্র দেব প্রসন্ন থাকেন তার ওপর। পুরাণকথা মতে, দক্ষ প্রজাপতি তার ২১ জন মেয়ের সঙ্গে চন্দ্রের বিবাহ দিয়েছিলেন। কিন্তু চন্দ্র তার সমস্ত স্ত্রীকে সমানভাবে গুরুত্ব দিতেন না। রোহিনীর ভুবন মোহিনী রূপে তিনি আকৃষ্ট ছিলেন। তখন অন্যান্য স্ত্রীরা এই বিষয়ে বাবার কাছে অভিযোগ জানালে দক্ষ জামাইকে অভিশাপ দেন যে চন্দ্র ক্ষয়রোগে আক্রান্ত হবেন।

এরপর চন্দ্র এই ব্রত উদযাপন করে শিব কে প্রশ্ন করে শাপ থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। যেখানে চন্দ্রদেব শিবের উপাসনা করেছিলেন, সেই জায়গায় আছো সোমনাথ জ্যোতির্লিঙ্গের রূপে বিরাজমান। শুধু তাই নয়, শাপগ্রস্থ চন্দ্রকে মর্যাদা প্রদান করার জন্য নিজের মস্তকে ধারণ করে রেখেছিলেন তাকে স্বয়ং শিব।

তাই এই ব্রতের মাহাত্ম্য সত্যিই অপরিসীম। সকালে স্নান করে শুদ্ধ হয়ে শিবলিঙ্গকে গঙ্গা জল দিয়ে অভিষেক করতে হয়। এরপর মহা মৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র জপ করে ফুল বেলপাতা, চাল, ধুপ, প্রদীপ, সুপারি অর্ঘ্য করতে হয় দেবাদিদেব মহাদেব কে। সায়ান্নে তার পরিবারকে পুজো করা হয়। প্রদোষ কথাটির অর্থ হল সন্ধ্যা। আজ সন্ধ্যা পূজার লগ্ন পড়েছে সকাল ৭ টা ১৭ মিনিট থেকে রাত ৯ টা ১৮ মিনিট।

এই সময়ের মধ্যে হরো গৌরী কে ওম নমঃ শিবায় মন্ত্র টি ১০৮ বার জপ করে শোনাতে হবে।

শিবকে অভিষেক করাতে হবে প্রয়োজনীয় সমস্ত উপকরণ দিয়ে।

যদি যজ্ঞের আয়োজন করা হয় তাহলে, অগ্নিতে দিতে হবে ক্ষীর আহুতি।

যজ্ঞ সমাপ্ত হলে শাস্ত্র মেনে ব্রাহ্মন ভোজন করাতে হবে।