সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

পরকীয়ায় ম’ত্ত মনের মানুষ, প্রতিবাদ করতেই স্ত্রীকে বি’ষ খাওয়ালেন স্বামী!

স্বামীর সাথে রয়েছে অন্য নারীর সম্পর্ক। স্ত্রী সবকিছু জানতে পেরে যেই না প্রতিবাদ করেছেন অমনি তাঁর জীবনে ঘনিয়ে এল চরম বিপদ। স্ত্রীকে জোর করে কীটনাশক খাইয়ে খুন করার চেষ্টা করেছিলেন তার স্বামী, এমনই অভিযোগ করা হচ্ছে।

দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বকুলতলা থানার তুলশী ঘাটা এলাকার বাসিন্দা এনাদুল পিয়াদা একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্কে যুক্ত ছিলেন। আর এই নিয়ে স্ত্রী সাবিনা পিয়াদার সঙ্গে প্রায়ই তাঁর অশান্তি হত।

পরিজনদের অভিযোগ, গত ১৭মে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ব্যাপক ঝগড়ার পর এনাদুল স্ত্রী সাবিনাকে ব্যাপক মারধর করে। স্বামীর হাত থেকে বাঁচতে সাবিনা দৌড়ে পালিয়ে যান একটি বাগানে।

আরো পড়ুন: কিরকম সা’জে মেয়েদের ১৬ শৃঙ্গার পূ’র্ণ হ’বে? কি বলছে ঋগ্বেদ?

কিন্তু, তাঁকে ধাওয়া করে এনাদুল এবং সেখানেই প্রকাশ্যে স্ত্রীর মুখে কীটনাশক ঢেলে দেন। তার বিরুদ্ধে উঠছে এমনই অভিযোগ। বহুরুর উত্তরপাড়ার বাসিন্দা।

বাপের বাড়ির লোকজন সাবিনার অসুস্থতার খবর পেয়ে তাকে তাড়িতাড়ি নিমপীঠ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু, সেখানে সাবিনার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকদের রেফারেন্সে তাঁকে পুনরায় নিয়ে যাওয়া হয় বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে।

আর সেখানেই রীতিমতো মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন সাবিনা। এই ঘটনায় সাবিনার পরিবার ইতিমধ্যেই বকুলতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্তও শুরু হয়েছে।

সূত্রের খবর, বারুইপুর এবং বকুলতলা থানার পুলিশ বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে গিয়ে সাবিনার জবানবন্দি নিয়েছে। সাবিনার স্বামী এনাদুল পলাতক। এনাদুলের খোঁজে একাধিক জায়গায় পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।

সাবিনার পরিবারের দাবি, অবিলম্বে এনাদুলকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত। সাবিনার দিদা অভিযোগ করেছেন, বিয়ের আগে থেকেই এনাদুলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল।

সাবিনার সঙ্গে বিয়ের পরেও সে একাধিক সম্পর্কে লিপ্ত ছিল। বিষয়টি নিয়ে সাবিনা প্রতিবাদ করাতে সাবিনাকে নিয়মিত মারধর করতে শুরু করে এনাদুল। তবে সে যে তাঁদের মেয়েকে খুন করার চেষ্টা করবে, তা তারা কখনও ভাবতে পর্যন্ত পারেননি।