আমাদের হয়তো এখন অনেকেরই মনে নেই কিন্তু রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে কিন্তু এখনও অবিরাম যুদ্ধ চলছে। স্বাভাবিকভাবে নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে রীতিমতো দুশ্চিন্তাগ্রস্ত দুই দেশের সম্পূর্ণ দেশবাসী। যুদ্ধ শেষে আদৌ কি হবে বা যুদ্ধে কে জয়ী হবে এমন নানাবিধ প্রশ্নের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে দুই দেশের মানুষ।
অন্যদিকে রাশিয়াবাসীদের চিন্তা নিজেদের সন্তান আদৌ দেশে ফিরে আসবে কিনা বা কবে শান্তি ফিরে আসবে তা নিয়ে। এমন বিপর্যয়ের পরিস্থিতিতে নিজেদের প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার জন্য একাধিক রাশিয়াবাসী জ্যোতিষীদের দ্বারস্থ হচ্ছেন। শুধুমাত্র রাশিয়াবাসী বললে ভুল হবে একাধিক ইউক্রেনবাসিও কিন্তু দ্বারস্থ হচ্ছে জ্যোতিষীদের কাছে।
রাশিয়ার এক জ্যোতিষী এলিনা করোলোভার বাড়িতে এমন অনেক প্রচুর মানুষের ভিড় প্রতিনিয়ত লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই জ্যোতিষী আগাগোরাই রাশিয়ায় ভীষণভাবে জনপ্রিয় তাই স্বাভাবিকভাবে এই বিপর্যয়ের সময় জ্যোতিষীদের চাহিদা যে আকাশ ছোঁয়া হবে তা বলাই বাহুল্য।
আরো পড়ুন: সিনেমায় কা’জ পাচ্ছেন না! রাজনীতির পাশাপাশি বি’য়ে’র জন্য পাত্র খুঁজতে ব্য’স্ত সায়ন্তিকা
ইউক্রেনের উপর যুদ্ধের ভয়াবহতা যত বাড়ছে জ্যোতিষীদের বাড়ির সামনে ভিড় আরো বেশি বেড়ে যাচ্ছে। জ্যোতিষীদের গণনার মতে সেপ্টেম্বর মাসে এই বিপর্যয় আরো তীব্র হবে এবং তারপর রাশি, স্থায়িত্ব এবং সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাবে। ২৪ শে ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর পর থেকেই এই রমরমা বেড়ে গেছে জ্যোতিষবিজ্ঞানীদের।
যুদ্ধ ঘোষণার প্রথম সপ্তাহে দেশের প্রধান সার্চ ইঞ্জিন মারফত জ্যোতিষী খোঁজা হয়েছে অতীতের দ্বিগুণের থেকে অনেক বেশি। তবে শুধুমাত্র এই জ্যোতিষী নয়, রাশিয়ার আরো এক জ্যোতিষী কনস্ট্যান্টিং দ্যারাগান জানিয়েছেন, ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে এবং পশ্চিম দেশের সঙ্গে সংঘাতে রাশিয়ার জয় হবে। এর আগেও মহামারীর সময় ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন তিনি।
তখন থেকেই বেশ জনপ্রিয় হয়ে পড়েছিলেন এই জ্যোতির্বিজ্ঞানী। বর্তমান প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, সংঘাতের পরে রাশিয়া হবে বিশ্বের কেন্দ্রবিন্দু। মসকাই এখন এই জ্যোতির্বিজ্ঞানের স্কুলে ২০০ জন ছাত্র জ্যোতির্বিদ্যার শিক্ষা গ্রহণ করছে। সমাজতত্ত্ববিদ আলেক্সিলেভেনশন জানান, ভবিষ্যৎ গননা করে এখন বহু বিভ্রান্ত রাশিয়ান বাস্তব জানার চেষ্টা করছেন।
নেতাদের পরিবর্তে এখন পথপ্রদর্শক হয়ে উঠেছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। রাশিয়ার পাশাপাশি জ্যোতির্বিজ্ঞান জনপ্রিয়তা হয়ে উঠেছে ইউক্রেনে। ইউক্রেনের জনপ্রিয় জাতির বিজ্ঞানী vlad রোষ জানিয়েছেন, পুতিন আসলে গুরুতর অসুস্থ এবং তিনি ২০২৩ সালের মার্চ মাসের বেশি আর বাঁচবেন না। অন্য এক জ্যোতিষী এঞ্জেলা parl একটি ভিডিও মারফত জানান, রাশিয়ার কোষ্ঠীতে এখন শনি বর্তমান, ইউক্রেনের গোষ্ঠীতে রয়েছে ইউরিনাস তাই আমাদের জয় আসন্ন।