সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

আবার নো’টি’শ পেলেন পরীমণি, ফের অ’শ্লী’ল’তা’র অভিযোগ অভিনেত্রীর বি’রু’দ্ধে

বাংলাদেশের অতি জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমণিকে নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। তাঁর রূপের সৌন্দর্য নিয়ে নতুন করে বর্ণনা করার কিছু নেই। চলতি বছরে মাদকাকান্ডে পরিমণী গ্রেফতার হয়েছিলেন। যদিও বেশ কিছুদিন পর জামিন পেয়ে বেরিয়ে আসেন জেল থেকে। তারপর জন্মদিনের এলাহী আয়োজন করে ধূমধাম করে পালন করেন তা। ধীরে ধীরে কাজেও ফিরেছেন। কিন্তু, এসব কাটতে না কাটতেই আবারও আইনি নোটিস পেলেন অভিনেত্রী। কিন্তু, কেন? চলতি বছরে প্রশাসনের অনুমতিতে বাংলাদেশের রাবের একটি দল পরীমনির বাড়ি তল্লাশি করে উদ্ধার করেছিল বিপুল পরিমাণে ওয়াইন, আইস, এলএসডি এবং মাদক সেবনের সরঞ্জাম। তখন পরীমনিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং তার হাজতবাস ও হয়। যেদিন তিনি জেল থেকে জামিনে মুক্তি পান, সেদিন তার হাতে মেহেন্দিতে লেখা ছিল ‘ডোন্ট লাভ মি বিচ’। এমনকি পরীমণি এক সংবাদমাধ্যমকে এও জানান, ‘যারা আমার জীবন নিয়ে খেলতে চায় বা ঘাটতে আসে, তাদের সবাইকে আমি ওয়েলকাম করছি। আসো। ওয়েলকাম। আমি প্রস্তুত তোমাদের সঙ্গে এই খেলায় অংশ নিতে। দম যতদিন আছে, আমি শেষ অবধি এই খেলায় লড়ে যাব।’

খোলামেলা পোশাক, সাহসী মন্তব্য, আকর্ষণীয় আবেদনে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে পরীমণি হয়ে উঠেছিলেন হার্টথ্রব আর নেটিজেনদের আলেচনার মধ্যমণি। লাইমলাইটে আসার জন্য বেছে নিয়েছিলেন রক্ষণশীল সমাজের উল্টো স্রোতে চলা। ২০১৫ সালে বিনোদন দুনিয়ায় প্রথম পা রাখেন। প্রথম সিনেমা মুক্তির আগেই আরও ২০টি ছবির অফার পেয়ে যান অভিনেত্রী। তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবিগুলির মধ্যে কয়েকটি হল, ‘নগর মস্তান’, ‘মনজুড়ে তুই’, ‘মহুয়া সুন্দরী’, ‘লভার নম্বর ওয়ান’। মিডিয়ার লেন্স আর ফ্ল্যাশের ঝলকানিতে রাতারাতি তারকা হয়ে যান তিনি। কিন্তু, তার ব্যাক্তিগত জীবনের বিরহ সুর ২০১০ থেকেই শুরু হয়ে যায়। তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও একাধিক প্রশ্ন উঠেছে, রটেছে কুৎসা একবার নয়, দুবার নয়, বারবার। তিন তিন বার বিয়ে ভেঙেছে।

তবে কি সেরকম বন্ধনে আবদ্ধ হতে চাননি তিনি? এবারের আইনি নোটিশে জানা গিয়েছে, ২০১২ সালের পর্নোগ্রাফি আইনের ২ নং ধারার ‘গ’ উপধারা অনুযায়ী— যৌ’ন উত্তেজক কোনও অ’শ্লী’ল সংলাপ, অভিনয়, অঙ্গভঙ্গি, ন’গ্ন বা অ’র্ধ’ন’গ্ন নাচ বা সিনেমা, ভিডিও চিত্র, অডিও ভিজ্যুয়াল ছবি, গ্রাফিক্স প’র্নো’গ্রা’ফি’র নামান্তর। কারণ, এতে যৌ’ন উত্তেজনার রসদ থাকে। শিক্ষা বা শিল্প থাকে না। শাস্তি হিসেবে রয়েছে, দু’বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড। ইতিমধ্যে পরীমণিকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তাকে বলা হয়েছে যে ফেসবুকে তাঁর পোস্ট করা একাধিক অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ডিলিট করতে হবে। আর এই কারণেই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার এবং ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী ইসমাতুল্লাহ লাকী তালুকদার নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী ৩০ দিনের মধ্যে ফেসবুক থেকে পরীমনির অশ্লীল ছবি ও ভিডিও যদি সরানো না হয় তাহলে হয়তো আবারও আইনি ঝামেলায় জড়াতে হতে পারে পরীমণিকে।