সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

পরান বন্দ্যোপাধ্যায়ের জী’ব’ন সকলকে অনুপ্রাণিত ক’র’বে, জানুন বর্ষীয়ান অভিনেতার সংগ্রামের কা’হি’নী

টলিউড জগতের অন্যতম জনপ্রিয় বর্ষীয়ান অভিনেতা পরান বন্দোপাধ্যায়। আজ পর্যন্ত বিভিন্ন সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। আর প্রত্যেকটি চরিত্রকে অসাধারণ অভিনয় দক্ষতার মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি। প্রলয় থেকে শুরু করে বঙ্কু বাবুর বন্ধু সব চরিত্রেই তার সাবলীল অভিনয় নজর কেড়েছে দর্শকদের। সেই পরান বন্দোপাধ্যায়ের জীবনের গল্প আজ অনুপ্রাণিত করতে পারে অনেককে। এমনকি নিজের বাবার মৃত্যুসংবাদও তাঁকে খুব বেশি আহত করতে পারেনি।

সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের সূত্রে জানা গেল তার জীবনের ছোটবেলার অজানা সব গল্প।ছোটবেলায় নিজের বাবা মাকে হারিয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে পরান বন্দোপাধ্যায় বলেছেন, “আমার যখন মাত্র পাঁচ মাস বয়স তখন মায়ের জীবনাবসান হয়। সেই থেকেই মা বলতে আমার পিসি। পিসিমা কমলাদেবীর স্ত’ন’পা’ন করেই আমি বড় হয়েছি। তাঁকেই মা বলে ডাকতাম। তাঁর কাছেই মায়ের স্নেহ, মায়া,মমতা পেয়েছি।”

Paran Bandopadhyay skeptical about taking COVID vaccine | Bengali Movie  News - Times of India

অভিনেতা আরও জানান “পিসিমার বড় ছেলের নাম জয়দেব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আমার বাবার মত ছিলেন। বাবার স্নেহ, ভালোবাসা সবকিছুই তার থেকে পাওয়া। কখনো মনে হয়নি বাবা আমার কাছে নেই। আমার বাবা ছিলেন। তিনি মাঝে মাঝে আসতেন, আমাকে বেড়াতে নিয়ে যেতেন। তাঁকে কাকা বলে ডাকতাম।”

অভিনেতার বাবা থাকতেন বাংলাদেশের যশোরে।অভিনেতার ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষার সময় হঠাৎ করেই তাঁর বাবার মৃত্যু হয়। যদিও তাঁর মৃত্যুতে তিনি সেরকম কোনো আঘাত পাননি বলেই জানিয়েছেন তিনি। কলকাতায় বাবার কাজ করেন পরান বন্দোপাধ্যায়। ছোটবেলা থেকে বাবা মাকে পাননি তিনি। তাই অতটুকু বয়সে পিসিকেই আঁকড়ে ধরেছিলেন। পিসিই তাঁকে মাতৃস্নেহ ভালোবাসায় বড়ো করে তুলেছেন তাই নিজের আবেগ ভালোবাসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আইন আদালত আর মানুষের আবেগ-সবসময়ে নাও এক পথে চলতে পারে। কিন্তু, আবেগ, ভালবাসা এগুলি অস্বীকার করবো কী করে!”