সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

জীবনের পুকুরে শুধুই গুপ্তধন! দাদুও ছু’ড়ে ফেলেছিলেন সোনাদানা! জানুন ইতিহাস

নিয়োগ দুর্নীতির পান্ডার খোঁজে গত শুক্রবার দুপুরে মুর্শিদাবাদের আন্দিতে জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে তল্লাশি করতে যায় সিবিআই।তিনি বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক। সেই সময় তার বাড়িতে একটি মিটিং চলছিল।সেখানে হাজির ছিলেন তৃণমূলের একাধিক জেলা পরিষদের সদস্য ও স্থানীয় নেতারা। এদের সকলকে গৃহবন্দি করে তল্লাশি শুরু করে সিবিআই।

তথ্য লোপাট করতে, তল্লাশি চলাকালীন জানলা দিয়ে বাড়ির পিছনের আমবাগানে বেশ কিছু গুরুত্তপূর্ণ নথি ও একটি পুকুরে তার দুটি মোবাইল ফোন ফেলে দেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। পরে সেগুলি উদ্ধার করা হয়। এরপর নিজেকে বাঁচাতে বাড়ির পাঁচিল টপকে পালানোর চেষ্টা করেন তৃণমূল বিধায়ক। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে তিনি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের হাতে গ্রেফতার হন।বর্তমানে তিনি রয়েছেন সিবিআই এর হেফাজতে।

তবে এই পুকুরকে স্থানীয়েরা ডাকেন ‘সোনাপুকুর’ বলে। কিন্তু কেনো? কারণ জানলে অবাক হবেন আপনিও।ষাটের দশকের প্রথম ভাগে যুব কংগ্রেস নেতা সুনীল ঘোষের ছায়াসঙ্গী ছিলেন সাতকড়ি সাহা,যিনি সম্পর্কে তিনি জীবনকৃষ্ণের দাদু।

আরো খবর: স্বামীহারা স্ত্রী কি শ্বশুর-শাশুড়িকে ভরণপোষণ দিতে বা’ধ্য? কি রা’য় আদালতের?

যে বাড়ি থেকে জীবনকৃষ্ণকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেল সিবিআই, সেই বাড়িই ঘেরাও করেছিলেন স্থানীয় কৃষকরা। অভিযোগ ছিল কৃষকদের ফসলের ভাগ নাদিয়ে সব একাই আত্মসাৎ করে সাতকড়ি।তখন সাতকড়ির আশঙ্কা করেছিল ‘লুট’ হয়ে যেতে পারে তার বাড়ি।

‘লুটেরা’দের হাত থেকে নিজের সম্পত্তি বাঁচতে সেই পুকুরেই দু’ পুটলি সোনাদানা ছুড়েছিলেন তিনি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর ওই পুকুরের সব জল ছেঁকে ফেলে দেওয়া গয়নার পুঁটলি গুলি উদ্ধার করা হয়। সেই থেকে স্থানীয়রা ওই পুকুরের নাম দেয় ‘সোনাপুকুর’ ।