এরকমটা অনেক সময়ই হয় যে কোন দুর্ঘটনা বসত বিয়ের পর স্বামী মারা যান,কিন্তু স্বামীর বাবা-মা জীবিত থাকেন। এই সময় ওই বৃদ্ধ বাবা-মার ভরণ পোষণ কে করবেন? এই দায়িত্ব কি বিধবা স্ত্রীর?এই বিষয়ে স্বামীহারা মহিলাদের জন্য ঐতিহাসিক রায় দিল বোম্বে হাইকোর্টের ঔরঙ্গাবাদ বেঞ্চ।
৩৮ বছর বয়সি ওই বিধবা মহিলার নাম শোভা তিড়কে। তার স্বামী মহারাষ্ট্র স্টেট রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের কর্মী ছিলেন। স্বামীর মৃত্যুর পরে তিনি রাজ্য সরকার পরিচালিত মুম্বইয়ের জেজে হাসপাতালে কাজে যোগ দেন। এদিকে তাঁর ৬৮ বছরের শ্বশুর ও শাশুড়ির দাবি ছিল, তাদের আয়ের কোনও উৎস নেই।
ছেলের মৃত্যুর পরে তার অসহায়। সেকারণেই তারা ভরণপোষণ চান। ন্য়ায়াধিকারী গ্রাম ন্য়ায়ালয় এই ভরণ পোষণ দিতে নির্দেশ দেয় ওই বিধবা মহিলাকে। কিন্তু এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বোম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই মহিলা।
আরো খবর: এবার গ্রাহকদের পকেটে ন’জ’র Airtel-র, সস্তার ১ জিবি প্ল্যান জেনে নিন
তিনি আদালতে জানিয়েছিলেন, প্রয়াত স্বামীর বাবা মায়ের নিজস্ব জমি রয়েছে, গ্রামে বাড়ি রয়েছে। এমনকি ক্ষতিপূরণ হিসাবে প্রয়াত ছেলের অফিস থেকে তারা ১.৮৮ লাখ টাকা পেয়েছেন।
এই মামলার রায়ে আদালতের সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি কিশোর সন্ত গত ১২ এপ্রিল রায় ঘোষণা করেন। তিনি বলেন , “ওই মহিলার স্বামী পরিবহণ দফতরে কর্মরত ছিলেন,কিন্তু স্ত্রী বর্তমানে স্বাস্থ্য দফতরে চাকরি করছেন।
সেকারণ এটা পরিষ্কার যে স্ত্রীর চাকরি ক্ষতিপূরণের গ্রাউন্ডে হয়নি।” তিনি আরও বলেন,” ছেলের মৃত্যুর পরে যথেষ্ট ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন তারা। তাদের নিজস্ব জমিও রয়েছে।তাই তাদের ভরণপোষণের অর্থ পাওয়ার কোনও সুযোগ নেই ।”