সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

শান্তনুর মতো ভা’লো মানুষ খু’ব কমই আছে, বলতে বলতে চোখে জল শাশুড়ির

রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতির জাল যে কত দূর ছড়িয়ে রয়েছে ,তার নাগাল পেতে কার্যত হিমশিম খেতে হচ্ছে ED ও সিবিআই কে । কিছুদিন আগে ইডি র জালে ধরা পড়ে আরও এক রাঘববোয়াল। হুগলি জেলার বলাগরের তৃণমূল নেতা শান্তনু ব্যানার্জী কে আটক করেছে ইডি। তিনি হুগলির জেলা পরিষদের কর্মাধক্ষ এবং অভিষেক ব্যানার্জীর ঘনিষ্ঠ।

গত ২০ জানুয়ারি তার বাড়িতে ২০ ঘণ্টা তল্লাশি চালায় ইডি। সেখান থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর OMR সিট ও নথিপত্র। এই বিষয়ে তাকে সাতবার জেরা করে ইডি।কিন্তু কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি। তার বয়ানে অনেক অসঙ্গতি ধরা পড়ে। ফলে বাধ্য হয়েই তথ্য প্রমাণ গোপন করার অপরাধে তাকে গ্রেফতার করে ইডি।

ইডি সূত্রের খবর, তার বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৩০০ চাকরিপ্রার্থীর তালিকা। ‘‘জামাই নির্দোষ। ওকে ফাঁসানো হচ্ছে।ওর মতো পরোপকারী মানুষ খুব কমই আছে।” -এমনটাই দাবি করলেন শান্তনুর শ্বাশুড়ি দীপালি গুপ্ত। লোকের থেকে শান্তনুর বেশ কিছু ঋণ নেওয়া আছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। আসতে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন দুর্নীতিতে যুক্ত থাকলে কেন আর্থিক ঋণ করবেন জামাই।

আরো খবর: বৃষ্টির পিসির নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ত’বে চাকরি কিভাবে পেলেন?

তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘মাঝরাতে কেউ অসুস্থ হওয়ার খবর পেয়েই ও ছুটে গিয়েছে। দুবার না ভেবেই তাকে কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসা করাতেও নিয়ে গিয়েছে।জামাই এমন কিছু (দুর্নীতি) অসামাজিক কাজ করতে পারে আমি বিশ্বাসই করি না।’’

শান্তনুর সম্পত্তির ব্যাপারে বলতে গিয়ে শাশুড়ি বলেন, ‘‘ওর অনেক পৈতৃক সম্পত্তি ছিল । এমনকি চাকরিও করত।এছাড়া লোন ও নিয়েছে কিছু। রাজনৈতিক দলের নেতা হওয়ায় অনেকেই তাঁর কাছে নানা আবদার নিয়ে আসতেন,এর মধ্যে থাকত চাকরি করিয়ে দেওয়ার আবদারও। “