বাগদার ছেলে ‘রঞ্জন’ ওরফে চন্দন মণ্ডল প্রাথমিকে চাকরি পাইয়ে দেবেন বলে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছিলেন। এমনকি না দিতে পেরে আবার টাকা ফিরিয়েও দিয়েছিলেন। তাই তাঁর সততা নিয়ে কেউ ‘প্রশ্ন’ তুলতে পারেননি।
কলকাতা হাইকোর্টে এসে এই রঞ্জন হাজিরাও দিয়ে গিয়েছেন। এর মধ্যেই প্রাথমিক নিয়োগে দুর্নীতি মামলা নতুন মোড় নিল। খোঁজ মিলল আরও এক রঞ্জনে। যিনি বাগদার ভদ্রলোকের মতো সৎ নন।
এই অসৎ ‘রঞ্জন’ টাকা তুলেছেন চাকরি দেবেন বলে। চাকরি হয়নি। কিন্তু টাকাও ফেরত দেননি। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে তিনটি পৃথক মামলা দায়ের হয়েছে।
আরো পড়ুন: পার্থ চট্টোপাধ্যায় “পাপ” করেছেন, সা’ফ জানালেন মদন মিত্র
তিনজনই নদিয়ার বাসিন্দা। তাঁদের অভিযোগ, সুমন চট্টোপাধ্যায় বলে এক ব্যক্তি চাকরির স্কিম নিয়ে ঘুরে ঘুরে টাকা তুলেছিলেন। তিনি বলতেন, টাকা দিলেই চাকরি গ্যারান্টি।
চাকরি না পেলে ডবল টাকা ফেরত। অনেকেই লোভে সেই স্কিমে নাম লিখিয়েছিলেন। তাঁরা আদালতে জানিয়েছেন, টাকা দিয়েও চাকরি পাননি। ডবল টাকা তো দূরের কথা, যে টাকাটা তাঁরা দিয়েছিলেন সেটাও ফেরত পাননি।