টলিউডের দ্বিচারিতা হচ্ছে একদিকে যেমন ইন্ডাস্ট্রিকে বাঁচাতে হবে তেমনি অন্যদিকে যারা ইন্ডাস্ট্রিকে বাঁচাবে তাদের মধ্যে একে অপরকে নিচে নামানোর পরিকল্পনা চলবে এরকম দু নৌকায় পা দিয়ে কখনই চলা যায় না।
রবিবার সকালে টলিউড অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী এরকমই একটা বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন। সবসময় স্পষ্ট কথা বলতে শোনা গেছে অভিনেত্রীর সুদীপ্তাকে।
স্পষ্ট কথা বলার জন্যই নানা রকম মন্তব্য তাকে শুনতে হয়েছে যদিও তিনি সব সময় স্পষ্ট কথা বলতে অভ্যস্ত। রবিবার একটি পোষ্টের মাধ্যমে তার কথা তিনি জানালেন ।
আরো পড়ুন: শ্বশুরের ATM কা’র্ড নিয়ে টা’কা তুলতে গিয়েছিলেন জামাই! কার্ড আ’ট’কে যেতেই যা হ’লো
তিনি সেই পোস্টে লেখেন, “আস্তে আস্তে কি সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে বাংলা বিনোদন? কেন বাংলায় অন্য জগতের সিনেমাগুলি তাদের রাজত্ব চালাবে? বাংলা বিনোদন কি এখন তাহলে দুয়োরানীর সংসার হয়ে গিয়েছে?
একদিকে বাংলা বিনোদনকে বাঁচানোর কথা উঠছে আবার আর একদিকে একে অন্যের পা ধরে নিচে নামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে এই দুটো কখনোই একসঙ্গে সম্ভব নয়”।
টলিপাড়ার সঙ্গে অভিনেত্রী সুদীপ্তার বহুদিনের সম্পর্ক। সম্প্রতি কিছুদিন আগে অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুকে ঘিরে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছিল প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে।
এর আগে অভিনেত্রী শ্রীলেখাকে দেখা গিয়েছিল স্বজনপোষণের বিরুদ্ধাচারণ করতে। অভিনেত্রী বাংলা বিনোদনের এই হাল এর জন্য আঙুল তুলেছেন প্রযোজক, বিভিন্ন অভিনেতা এবং ছোট পরিচালকদের ওপর।
তার মতে নিচু মানসিকতাটাও উন্নতির ক্ষেত্রে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। অনেক সময় আমরা যে সমস্ত ছোট ছোট কাজগুলো করে থাকি সেগুলোর প্রশংসা করা উচিত কিন্তু আমরা সে গুলোকে করিনা।
বড় বড় পরিচালক-প্রযোজকরা এখন সবাই টুইটারে ফোনে নানান রকমের সমালোচনা করতে ব্যস্ত। নানান মানুষের যেমন নানান মত হয় তেমনি সমস্ত ছবিগুলো প্রত্যেকটা মানুষেরই যে পছন্দ হবে তার কোনো কারণ নেই।
কোন ছবি যদি খারাপ হয়ে থাকে তাহলে সেটা দেখার কোন দরকার নেই। ‘কষ্ট করেই সিনেমাগুলি তৈরি করেছি, দর্শকরা যদি না দেখে তবে বাংলা বিনোদন কে কিভাবে বাঁচানো যাবে’ এই সমস্ত কথাগুলো অভিনেত্রীর কাছে এখন একেবারেই নিছক বলে মনে হয়।
পোস্টটিতে অভিনেত্রী সবাইকে সচেতন হওয়ার কথা বলেছেন এবং তিনি জানিয়েছেন,” ছোট বেলার দিকে একবার ফিরে তাকাতে হবে সেই সময় শিখেছিলাম যে কিভাবে ভালোকে ভালো এবং কিভাবে খারাপকে খারাপ বলতে হয়।
যদি দুটোই বলতে হয় সেটা যেন সবার সামনে বলার মত যোগ্যতা থাকে, তাহলে দুজনার ক্ষেত্রেই সম্মানটা বেঁচে যায়। কিন্তু বর্তমান জীবনের না কেউ আমরা নিজেদের সম্মান রাখি না অন্যের”।