ইডির চোখ এবার কপালে উঠেছে কারণ সম্প্রতি তারা পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতার কয়েকটি সন্দেহ জনক ব্যাঙ্ক একাউন্ট পেয়েছে সেই সব একাউন্টের ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট দেখে একেবারে অবাক। ২০১৬ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত যে টাকা লেনদেন হয়েছে সেটা ৭০০ কোটির ওপরে, এমনটাই জানা গেছে ইডি সূত্রে।
শুধু কিন্তু তাই নয়, যখন অর্পিতা ও পার্থ গ্রেফতার হয়েছে তাঁর কয়েকদিন আগেও অধিক পরিমাণে টাকা লেনদেন হয়েছিল। ২০২০ সালেও ১৭,১৯,২০ মার্চ আরও তিনটি বড় লেনদেন হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে।
যে সমস্ত একাউন্ট থেকে এই বড় পরিমাণ টাকা লেনদেন হয়েছে সেটা পার্থ অর্পিতার জয়েন্ট একাউন্ট থেকে। সাথে অপা ইউটিলিটি সার্ভিসেস, অনন্ত টেক্সফ্যাব ও অর্পিতার নিজস্ব একাউন্ট থেকে এই টাকা লেনদেন হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। মোট ৫ টি একাউন্টের টাকা লেনদেন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে।
দেখা গেছে দৈনিক ২০-৩০ লক্ষ টাকা লেনদেন হয়েছে বেশিরভাগ ক্রেডিট হয়েছে। এদিকে আবার অপার ব্যালেন্স শিট ব্যবসায়িক লেনদেন হিসেবেই দেখানো হয়েছে।
এই সমস্ত টাকা যেগুলো লেনদেন হয়েছে সেগুলো নাকি রিয়েল এস্টেট, সোনার ব্যবসায়িক দের পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এবার প্রশ্ন হল এই টাকার উৎস কোথায়? হয়ত এই প্রশ্নের উত্তরের খুবই কাছে পৌছে গিয়েছে আধিকারিকরা।
এমনটাই অনুমান করা হচ্ছে। কারণ যাদের মেধা তালিকায় নাম ওঠে নি সেই সমস্ত প্রার্থীরা নাকি নগদ টাকা নিয়ে সরাসরি যেতেন এস এস সি অফিসে। সেই সমস্ত টাকা নাকি সংগ্রহ করত পার্থের ঘনিষ্ঠরা।
ইডির সূত্রে জানা যাচ্ছে, সেই টাকা নেওয়ার পরেই নাকি সেই টাকা চলে যেত হরিদেবপুরের ফ্ল্যাটে। যেখান থেকেই কয়েকদিন আগে ইডি উদ্ধার করেছিল ২১ কোটি টাকা।
আরও জানা গেছে সেখানেই নাকি সেই সমস্ত চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ পত্রও দেওয়া হত। এভাবেই সমস্ত বিপুল অঙ্কের টাকা সংগ্রহ করে কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা হত বলেই দাবি ইডি আধিকারিকদের।