সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

আসল ড্রাকুলার কা’হি’নী, তৃ’ষ্ণা মেটাতে ‘র’ক্ত’ কিনে আনতেন ব্লা’ড ব্যাংক থে’কে

পৃথিবীতে নানান রকমের লেখক এর নানান রকমের গল্প রয়েছে যেগুলি বিভিন্ন ধরনের মানসিকতার ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়, যেমন খুব ভয় ধরিয়ে রাখে তো কোন কোন ভুল গল্প ভীষণ হাসায়। এরকমই একটি গল্প যা আজও মানুষের মনে একটি ভয়ের সৃষ্টি করে লেখক ব্রাম স্টোকারের লেখা কাউন্ট ড্রাকুলার গল্প শুনলে পরে আজও শরীরে শিহরণ জেগে ওঠে।

যেখানে রক্ত তৃষ্ণা মেটানোর জন্য মানুষের ঘাড়ে মুখ দিয়ে বসিয়ে দেওয়া হয় দন্ত যার ফলে শরীরের সমস্ত রক্ত চুষে নেওয়া হয়, যদিও এই গল্পের ভিত্তিতে আদৌ কোনো অস্তিত্ব রয়েছে কিনা ড্রাকুলার সেটা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে ।

একুশ শতকের যে সত্যি সত্যিই এই গল্পের ড্রাকুলার আবির্ভাব ঘটবে সেটা কিন্তু কেউই কখনো স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি। ড্রাকুলা থাকেন ট্রানসিলভেনিয়া বাবার সঙ্গে এই ড্রাকুলার বাস দ্য জার্রনাল অব সাইকোথেরাপি এন্ড সাইকোসোম্যাটিক্স। আসলে বাস্তব জীবনের সেই ব্যক্তিটি কেমন এবং কি ধরনের ই তার মানসিক অবস্থা সে সম্পর্কে শুধুমাত্র তথ্য দেওয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন: এবার থেকে প্রতিদিন মহাকাশে পাড়ি দেওয়া যা’বে, ইতিমধ্যে ৮০০ জন কোটি টা’কা’র টিকিট কে’টে নিয়েছেন

একজন ব্যক্তি যিনি সারা দিন ধরে মানুষের রক্ত পান করেন এবং শেষ শারীরিকভাবে একদম সুস্থ এটা কি করে সম্ভব যথেষ্ট প্রশ্ন জাগে এ নিয়ে চিকিৎসকদের মধ্যে এমনকি সেই ব্যক্তির স্বাস্থ্যগত অবস্থা বর্তমানে কী সেটা জানার জন্য পর্যবেক্ষণ করার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকেরা। ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন এবং জানা যায় যে দু বছর ধরে ওই ব্যক্তি একনাগাড়ে রক্ত পান করছে।

প্রত্যেকদিন রক্তর তৃষ্ণা মেটানোর জন্য তিনি নিজের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্লেড দিয়ে কাটেন। দিনের-পর-দিন এই রক্তের তেষ্টা এতটাই বাড়তে থাকে যে তিনি অন্যান্য ব্যক্তিদেরকেও আক্রমণ করতে শুরু করেন।

তাদের গায়ে কামড় বসিয়ে দেন এমনকি ছুরি বা অন্য কোনো অস্ত্র দিয়ে তাদেরকে আহত করেন। এই কারণে বহুবার তাকে গ্রেপ্তার করেছে তুর্কির পুলিশ। এমনকি ওই ব্যক্তির রক্তের তৃষ্ণা মেটাতে তার বাবা রোজ ব্লাডব্যাংক যেতেন। চিকিৎসকদের দাবি যৌক্তিক বহুদিন ধরেই অবসাদে ভুগছি। জানা গেছে ওই ব্যক্তির চার মাসের মেয়ে মারা গেছেন যার ফলে এই শোক তিনি সামলাতে পারেননি।

এর পরেই ওই ব্যক্তির সামনে খুন করা হয় তার কাকাকে, খুন করে সেই মৃ’ত’দে’হে’র মাথা এবং ‘যৌ’না’ঙ্গ’ পর্যন্ত কেটে ফেলা হয় তার সামনে। চিকিৎসকরা পর্যবেক্ষণ করে দেখতে পারেন যে ওই ব্যক্তি নিজে নিজেই আপন মনে বকে যান এমনকি কোন এক অদৃশ্য বন্ধুর কথা তিনি ক্রমশই বলতে থাকেন। এমনকি সেই অদৃশ্য বন্ধু তাকে যে আ’ত্ম’হ’ত্যা করতে বলেছে সেটাও তিনি জানান।