আমাদের দেশের সবচেয়ে ধনী মানুষ গুলোর মধ্যে একজন হলেন মুকেশ আম্বানি। তার পরিবারের বিলাসবহুল জীবন যাপন আমাদের সকলকেই চমকিত করে দেয়। সম্প্রতি মুকেশের কনিষ্ঠ পুত্র অনন্ত এবং ‘অ্যাঙ্কর হেল্থকেয়ার’-এর সিইও বিনোদ মার্চেন্টের কন্যা রাধিকা মার্চেন্টের আংটিবদল পর্ব ১৯ জানুয়ারি ‘অ্যান্টিলিয়া’য় ধুমধাম করে অনুষ্ঠিত হয়।
সেখানে আমরা দেখেছি কি পরিমাণ অর্থ খরচ করেছিল আম্বানি পরিবার। সকলের পোশাক আশাক ছিল দেখার মতোন। তাদের এই আরম্ভ দেখে ২০১৮ সালে মুকেশ আম্বানির মেয়ে ঈশা আম্বানির বিয়ের কথা মনে পড়ে যায়। ঈশা এবং তাঁর বাল্যবন্ধু-ব্যবসায়ী আনন্দ পিরামলের বিয়ে উপলক্ষে ‘অ্যান্টিলিয়া’ সেজে উঠেছিল।
এত সাজ-আড়ম্বর থাকা সত্ত্বেও চর্চায় ছিলেন ঈশা। শুধুমাত্র তিনি বিয়ের কনে ছিলেন বলেই নয়, মুকেশ-কন্যার বিয়ের সাজ নিয়ে তুমুল আলোচনা শুরু হয়েছিল সেই সময়। বড় বড় তারকাদেরও নাকি চোখ ধাঁধিয়ে গিয়েছিল ঈশার সাজ দেখে। কারণ, ঈশার প্রায় ৯০ কোটি টাকার লেহঙ্গা পড়েছিল।
আরো খবর: পুরুলিয়ার স্কুলের ব্যাংক Account থেকে ২০ লক্ষ টা’কা উ’ধাও, অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক
যার দাম শুনে বিস্মিত হয়ে পড়েছিলেন সকলেই। এখনও পর্যন্ত কোনও বলি অভিনেত্রী বিয়ের পোশাকের জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করেননি। তবে, ঈশার বিয়ের লেহঙ্গায় কী এমন মণিমাণিক্য দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল? জানা যায় ঈশা আম্বানির বিয়ের লেহেঙ্গাতে অনেক সূক্ষ্ম কাজ করা ছিল।
পোশাকশিল্পী আবু জানি এবং সন্দীপ খোসলা বহু ঘেরযুক্ত লেহঙ্গাটি বানিয়েছিলেন বিশেষ ভাবে। জারদৌসি পাড়ের কারুকাজ করা লেহঙ্গার উপর ফুটে উঠেছিল মুকাইশ এবং নকশির ঐতিহ্য।
অনেক সংবাদ মাধ্যম এও বলেন যে ঈশা আম্বানির বিয়ের লেহেঙ্গাতে হিরের কাজ ছিল। ওই লেহেঙ্গাতে সূক্ষ্ম ফুলের ডিজ়াইন রয়েছে তাতে সিকুইনের কাজ ধরা পড়েছে। অনেকের দাবি, এই কাজ করতে দামি পাথরও ব্যবহার করেছেন আবু এবং সন্দীপ বলে জানা গেছে।