দীপক ঘোষের লেখা বই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নানান ব্যক্তিগত জীবনে আলোকপাত করেছে। আর সেই সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন তরুণ কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্য কংগ্রেসের সহ-সভাপতি কৌস্তভ বাগচি। তার প্রতিবাদে হঠাৎ গতরাতে তার ব্যারাকপুরে বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হয় কলকাতা পুলিশ রাতভোর তাকে জেরা করা হয় এবং সকালে তাকে গ্রেফতার করা হয় । এর প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিল রাজ্য কংগ্রেস।
দফায় দফায় চলে বিক্ষোভ কর্মসূচি। এমন কি কৌস্তুভের বাড়িতে এসে তার বাবাকে সমবেদনা জানিয়ে যান তার সহকর্মীরা থেকে শুরু করে সিপিআইএম ও বিজেপি নেতারাও। অবশেষে জামিন পেলেন কৌস্তভ বাগচী। ব্যক্তিগত বন্ডে ১০০০ টাকা বিনিময়ে তাকে জামিন দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। এদিকে জামিন পাওয়ার পরেই এক দুঃসাহসিক কাজ করলেন কৌস্তব।
একেবারে কলকাতা হাইকোর্টের সামনে তিনি বসে পড়লেন। হাইকোর্টের সামনেই রয়েছে নাপিতের দোকান। নাপিতের কাছ থেকে তিনি সমস্ত চুল কাটিয়ে নিলেন। এরপর তিনি প্রতিজ্ঞা করলেন যতদিন পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে না তাড়াবেন ততদিন তিনি চুল গজাতে দেবেন না।
আরো খবর: জামাইষষ্ঠীতে এবার বাংলাকে চ’ম’কে দেবেন তৃণমূলের “কালারফুল” বয় মদন মিত্র
এই ঘটনায় রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা এলাকায়। প্রসঙ্গত আজ সারাদিন ধরে চলে কৌস্তভ পর্ব। তার জামিনের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছিল আসমুদ্র হিমাচল অবশেষে জামিন পেয়েছেন কংগ্রেস নেতা।
এদিকে এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের মন্ত্রী শশী পাঁজা জানিয়েছেন যেভাবে তিনি মাতৃসমা মুখ্যমন্ত্রীর চরিত্র নিয়ে কথা বলেছেন, তাই জন্যই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রোদ্দুর রায় এবং কৌস্তব দুজনেই সমান দোষে অপরাধী।