বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা জীবজগতের উপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে আসছেন। সংকরায়ন পদ্ধতিতে হাইব্রিড মানুষ তৈরি করার প্রচেষ্টাও চলছে। চীনের একদল বিজ্ঞানী শিম্পাঞ্জি মানব তৈরি করার প্রচেষ্টা করছেন। মানুষের শুক্রাণু ব্যবহার করে এক মহিলা শিম্পাঞ্জিকে গর্ভবতী করে ‘হিউম্যানজি’ তৈরির প্রচেষ্টা করা হয়েছিল 1960 সালে।
1960 দশকে চীনের সাংস্কৃতিক বিপ্লবের সময় এই বিতর্কিত প্রকল্প বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। যে কারণে শিম্পাঞ্জিটি গর্ভধারণের তিন মাস পরে মারা যায়। এই ধরনের সংকর প্রাণী তৈরি করার উদ্দেশ্য যে প্রাণী মানুষের মত কথা বলতে পারবে এবং শিম্পাঞ্জির মতো শক্তিশালী হবে। ভারী কৃষিকাজ, খনির কাজ, মহাকাশ এবং সমুদ্রের গভীরতম স্থানের অনুসন্ধানের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে এমন প্রাণীকে।
2019 সালের ইউএসএ’র সালাক ইনস্টিটিউট ফর বায়োলজিক্যাল স্টাডিজের এক অধ্যাপকের নেতৃত্বাধীন বিজ্ঞানীরা এ ক্ষেত্রে দুর্দান্ত সাফল্য অর্জন করতে পেরেছিলেন। তারা মানুষ এবং বানরের সংমিশ্রণে একটি হাইব্রিড তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলেন যে 19 দিন পর্যন্ত বেঁচেছিল। এমনকি রাশিয়ার স্বৈরাচারী শাসক স্টালিনও এমন এপ ম্যান তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন যারা চরম পরিস্থিতিতে কাজ করতে পারে এবং ক্ষুধার প্রতি সহনশীল হতে পারে।
তবে এই প্রকল্প সফল হয়নি। এপ ম্যান নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন গুজব রটেছে। অলিভার নামের একটি সার্কাসে একটি বন মানুষকে দেখে অনেকেই এপম্যান বলে মনে করেছিলেন। তার মৃত্যুর পর ময়নাতদন্ত হওয়ার পর জানা যায় সে একটি সাধারণ শিম্পাঞ্জি ছিল।