সম্প্রতি ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভে ৫ যে তথ্য সামনে এনেছেন তা শুনে চমকে যাবেন অনেকেই। কি সেই তথ্য? তথ্য বলছে ১৮ থেকে ৪৯ বছর বয়সী মহিলাদের মধ্যে অন্তত ১০% মহিলারা তাদের স্বামীর উপর একবার কোনো না কোনো সময়ে হাত তুলেইছেন, যখন তাঁর স্বামী তাঁর ওপর কোনো ধরনের অত্যাচারীই করেননি অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে ১০% নারী বিনা কারণে তাঁদের স্বামীকে লাঞ্ছিত করেন।
এমনই একটি ভিডিও সামনে এসেছে, সেটি রাজস্থানের এক দম্পতির ভিডিও, যেটি তাঁর বাড়ির সিসি টিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, যে ব্যক্তিটিকে তাঁর নাম অজিত সিং, তিনি পেশায় একজন সরকারি স্কুলের শিক্ষক। হঠাৎই তাঁর স্ত্রী দৌড়ে এসে তাঁকে ব্যাট দিয়ে মারছেন, অজিত সিং থাকেন ভিওয়াড়িতে। তিনি ৯ বছর আগে সোনিপাতের বাসিন্দা সুমনকে বিয়ে করেন।
বিয়ের কয়েকদিন পরেই তাঁদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি শুরু হয়, যে কারণে তাঁর স্ত্রী তাঁকে মারধর করেন বলে জানা গেছে। তবে শুধুমাত্র অজিত সিংয়ের মত স্বামী নন এমন অনেক পুরুষই তাদের স্ত্রীর কাছ থেকে লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন।
আরো পড়ুন: আমাজনের জঙ্গলে প্রাচীন নগর সভ্যতার খোঁ’জ মিললো লেসার প্র’যু’ক্তি’র মা’ধ্য’মে
ফ্যামিলি হেলথ সার্ভিস বলছে ১৮ থেকে ৪৯ বছর বয়সী মহিলাদের মধ্যে ১%; ২০ থেকে ২৪ বছর বয়সী মহিলাদের মধ্যে ৩%; এবং ২৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী মহিলাদের মধ্যে ৩.৪%; ৩০ থেকে ৩৯ বছর বয়সী মহিলাদের মধ্যে ৩.৯%; এবং ৪০ থেকে ৪৯ বছর বয়সী মহিলাদের মধ্যে ৩.৭% মহিলারাই এই কাজ করে থাকেন।
তবে গ্রামাঞ্চলের মহিলারা শহরের তুলনায় বেশি নির্যাতন করেন স্বামীর ওপর। আইনের ক্ষেত্রে স্বামী ও স্ত্রী উভয়েই উভয়কে লাঞ্ছিত করলে সেটি অপরাধ বলে গণ্য হয়।
তবে স্ত্রীর পক্ষে যেভাবে আইন তৈরি হয়েছে সেই আইন স্বামীদের জন্য নয়, এমনকি মাদ্রাজ হাইকোর্ট বলেছেন এই আইন শুধুমাত্র স্ত্রীদের সুরক্ষার জন্য, স্বামীদের জন্য নয়, অর্থাৎ স্ত্রী যদি স্বামীকে মারধর করে তা সহিংসতায় ধরা হবে না।
তবে সেক্ষেত্রে স্বামীদের পক্ষেও রয়েছে হিন্দু বিবাহ আইনে ১৩ ধারার অধীনে বিবাহ বিচ্ছেদ মামলা; আইপিসি ধারা ১২০, ১৯১,৫০৬, সিআরপিসি ধারা ২২৭, সিপিসি ধারা ৯ অনুযায়ী তাঁরা স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করতে পারেন। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে আইন সবার পক্ষেই আছে, শুধুমাত্র তার সঠিক ব্যবহার টুকু জানতে হয়।