ইতিমধ্যেই এই রাজ্যের দাপুটে মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট গ্রেফতার করেছে ৷ সামনে এসেছে নগদ ২২ কোটি টাকার ভাণ্ডার৷
পার্থবাবু গ্রেফতার হওয়ায় নতুন করে আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন চাকরি প্রার্থীরা৷ নতুন করে প্রাণ পেয়েছে প্রায় ৫০০ দিন ধরে ধারাবাহিকভাবে চলা চাকরি প্রার্থীদের অনশন মঞ্চ৷
এহেন আবহে কেন্দ্রীয় সরকারের একটি রিপোর্টই ইডির তদন্ত নিয়ে এবার বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন সামনে আনল। সংসদ সূত্রের খবর, ইডির তদন্তের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে জানতে সম্প্রতি আনা হয়েছিল একটি প্রশ্ন।
আরো পড়ুন: সরকারি চাকরির পরীক্ষার নি’য়’ম শি’থি’ল করলো রাজ্য, কোন কর্মীরা সু’বি’ধা পাবেন জেনে নিন
যার জবাবে এদিন কেন্দ্রীয় অর্থপ্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী জানান, গত ১৭ বছরে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে মোট ৫ হাজার ৪২২টি মামলা করেছে ইডি।
তারমধ্যে মাত্র কেবল ২৩ জন দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন৷ যা শুনে সংসদ কক্ষেই চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার জোগাড় হয় সাংসদদের৷
সংসদ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৫,৪২২টি মামলায় প্রায় ১,০৪,৭০২ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
এর মধ্যে ৯৯২টি মামলায় মোট ৮৬৯.৩১ কোটি টাকা উদ্ধার করতে পেরেছে ইডি৷ তবে, এই অঙ্কের হিসেবে দেখতে গেলে আর্থিক দুর্নীতি মামলার তদন্তে ইডির সাফল্যের হার খুবই কম৷
স্বভাবতই, দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া পার্থ চট্টোপাধ্যায় আদৌ শাস্তি পান কি না, বঞ্চিতরা তাঁদের চাকরি পান কি না, তা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।