এবার থেকে রেফার করার আগে জেনে নিতে হবে, সেখানে বেড রয়েছে কিনা। রাজ্যের সরকারি হাসপাতালের রেফার নীতি নিয়ে বিশাল রদবদল।
কিছুদিন আগেই রেফার করার কারণেই ৮ মাসের একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে।যার পরেই এন আর এস হাসপাতালের চিকিৎসক দের নিয়ে গঠিত কমিটি যার সুপারিশের ভিত্তিতে রেফার নীতি নিয়ে কথা বলেছেন, ও নতুন কিছু নিয়ম তৈরী করা হয়েছে।
নিউটাউনের এক বাসিন্দা তার ৮ মাসের শিশু কাজলের কৌটো গিলে ফেলে, যার কারণেই তার পরিবার একের পর এক হাসপাতালে ঘুরে পরে ১০ টা নাগাদ এস এস কে এম হাসপাতালে ভর্তি করে।
সেখানে সাথে সাথেই ল্যারিঙ্গোস্কোপি করে কাজলের কৌটোটি বার করলেও সমস্যা দূর হয় না। কারণ ততক্ষণে শিশুটির দেহে অক্সিজেনের মাত্রা অনেকটাই কমে গিয়েছিল। শিশুটিকে আবার পি আই সি ইউ তে স্হানান্তরিত করা হলেও, তার মৃত্যু হয়।
আরো পড়ুন: এই ছোট্ট কাজটি কৃষকরা ঠি’ক করে করলেই পাবেন ৩৬ হাজার টা’কা, জানুন বি’শ’দে
এবার সেটা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে পরিবার। কেন সকাল ৭-১০ পর্যন্ত ঘোরানো হলো আমাদের। এন আর এস হাসপাতালের চিকিৎসক দের ওপরেই ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছে সেই পরিবার। পরিকাঠামো থাকা সত্ত্বেও কেন বাচ্চাকে রেফার করা হল অন্যত্র।
বিভিন্ন বিভাগে ঘুরে সময় নষ্ট হয়েছে, এতে শিশুর শারীরিক অবস্হা আরও খারাপের দিকে গেছে। ইতিমধ্যেই তিন চিকিৎসক নিয়ে রাজ্য সরকার কমিটি গঠন করেছে, তারা প্রশ্ন তুলেছে সব পরিষেবা থাকা সত্ত্বেও?
এরপরেই রেফারের নীতিতে রদবদল করা হয়েছে। নতুন নীতিমালা তৈরী করেছে স্বাস্হ্যভবন।মোট কথা এবার থেকে রেফার করার আগে জানতে হবে, সেই রেফার করা হাসপাতালে ফাঁকা বেড আছে কিনা?