সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

এবার ট্রেনে করেই পৌঁছে যে’তে পারবেন বৈষ্ণদেবী! কবে ছু’ট’বে ট্রেন?

এবার বৈষ্ণোদেবী যাত্রা হতে চলেছে আরো সহজ। মাত্র একটা ট্রেনে চাপলেই পৌঁছে যেতে পারবেন বৈষ্ণোদেবী। জম্বু কাশ্মীরের দ্রুতগতিতে রেললাইন পাতার কাজ চালাচ্ছে ভারতীয় রেল । শনিবার শ্রীনগরের রেলমন্ত্রী জানান হিমালয়ের দুর্গম পির পাঞ্জল পর্বতমালার মধ্য দিয়ে ১১১ কিলোমিটার রেল লাইন পাতার কাজ চলছে।

এই প্রকল্পের কাজ যখন শেষ হবে তখন ব্রডগেজ রেলপথ জুড়ে যাবে কাশ্মীর উপত্যকার সঙ্গে। আর আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই এই কাজ সম্পন্ন হবে প্রসঙ্গত ২০০২ সালে ভূস্বর্গে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয় যার নাম দেওয়া হয়েছিল শ্রীনগর উধমপুর বারামুলা রেলওয়ে প্রকল্প।

কাজ শেষ হলে জম্বু এবং কাশ্মীরের সঙ্গে উপত্যকার বিস্তীর্ণ এলাকা ও কাটরা জুড়ে যাবে বলে জানা গিয়েছে। কাটরা থেকে সহজেই ১০ কিলোমিটার দূরে ওই মন্দিরে পৌঁছে যেতে পারবেন শরণার্থীরা। ২০০৫ সালে জম্বু থেকে কাটরার মধ্যে ২৫ কিলোমিটার রেললাইন পাতার কাজ শেষ হয়।

আরো খবর: চৈত্র সেলের শপিংয়ে গিয়ে অনেকেই ভু’ল করেন! এবার আর এই ভু’ল করবেন না!

উত্তর কাজীগুন্ড থেকে শ্রীনগর পর্যন্ত বারামুলা হয়ে ১৩৬ কিলোমিটার রেলপথ পাতার কাজ শুরু হয়েছে তারপর থেকেই। ইতিমধ্যে ঐ রেলরুটে পরিষেবা চালু হয়ে গিয়েছে। ভৌগলিক অবস্থার প্রতিকূলতার জন্য নানান রকম বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন হতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী।

এই রুটে ৭২ কিলোমিটার পথ সুরঙ্গের মধ্য দিয়ে যাবে।সেতুর উপর দিয়ে ১২ কিলোমিটার যাবে ট্রেন। ২০০২ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্পকে জাতীয় প্রকল্পের মর্যাদা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইতিমধ্যে এই প্রকল্পের জন্য খরচ হয়ে গিয়েছে ৩৮ হাজার কোটি টাকা।

বাড়তি ছয় হাজার কোটি টাকা এই বাজেটে বরাদ্দ করা হয়েছে এই বছর। ভারতের একমাত্র ঝুলন্ত সেতু তৈরি হয়েছে এখানে চন্দ্রভাগা নদীর উপর দিয়ে তৈরি হচ্ছে সেই সেতু। কোঙ্কন রেলের আধিকারিকরা জানিয়েছেন ১৪০ টন ওজনের ইস্পাতের একটি খন্ডাংশ দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে এই রেলপথ। রেলের উপর সেতু ৪৭৩ মিটার দীর্ঘ।