সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

তা’লি’বা’ন সরকারের বিভিন্ন পদে কু’খ্যা’ত জ’ঙ্গি’দে’র ছড়াছড়ি, সকলেই মো’স্ট ওয়ান্টেড ক্রিমিনাল

২০ বছর পর মার্কিন সেনাদের হটিয়ে আফগানিস্তানের দখল নিয়েছে তালিবান জঙ্গিরা। আরে জঙ্গিরাই এখন কার্যত সম্পূর্ণ আফগানিস্তান পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে। এদের মধ্যে আবার বেশ কয়েকজনের মাথার দাম ধার্য করেছে বিভিন্ন দেশ এবং রাষ্ট্রসংঘ। সেই মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গিরাই আজ আফগানিস্তানের গদিতে গিয়ে বসেছে। তালিবানদের প্রধান হয়েছেন মোল্লা মোহাম্মদ হাসান আখুনদ, অর্থাৎ মোহাম্মদ হাসান আখুনদই এখন তালিবানদের প্রধানমন্ত্রী।

হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রধান সিরাজউদ্দিন হাক্কানিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষণা করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে মোল্লা ইয়াকুবের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এই সরকারের বেশির ভাগ সদস্যই আন্তর্জাতিক মানের সন্ত্রাসবাদি হিসেবে তকমা পেয়েছে। এদের বেশ কয়েকজনের মাথার দাম বেশ কয়েক কোটি টাকা। জাতিসংঘ তালেবান নেতাদের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের মধ্যে থেকে অন্তত পাঁচজনকে সন্ত্রাসবাদি ঘোষণা করেছে।

এই কুখ্যাত জঙ্গিদের নিয়েই আফগানিস্তানের শাসনভার চালাচ্ছে তালিবানরা। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালিবান সরকারের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত মোল্লা মোহাম্মদ হাসান আখুনদকে ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে কাবুলে এক হামলায় এক মার্কিন নাগরিকসহ ছয় বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যুর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে খোঁজা হচ্ছে। ওই জঙ্গি নেতাই আজ আফগানিস্তানের প্রধানমন্ত্রী!

বিগত দুই বছরে তালিবানরা যতগুলি সন্ত্রাসবাদি কার্যকলাপ চালিয়েছে তার মধ্যে বেশির ভাগেরই পেছনে হাক্কানী জঙ্গী সংগঠনের সদস্যদের হাত ছিল। হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রধান সিরাজউদ্দিন হাক্কানিকে মার্কিন তদন্ত সংস্থা এফবিআই খুঁজছে। তাকেই আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করা হয়েছে। ২০০৮ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইকে গুপ্তহত্যার করার পেছনে সিরাজউদ্দিন হাক্কানির হাত ছিল বলে অনুমান। আমেরিকার তরফ থেকে এই জঙ্গী নেতার তথ্য এনে দেওয়ার উপর ৫০ লক্ষ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। আফগানিস্তানের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী করা হয়েছে আব্দুল সালাম হানাফিকে। মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িতে থাকার কারণে,জাতিসংঘের পক্ষ থেকে আবদুল সালাম হানাফিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।