সম্প্রতি বিজেপি শিবির ছেড়ে আবার তৃণমূল দলে ফিরে এসেছেন এককালীন মমতা ঘনিষ্ঠ তৃণমূলনেতা মুকুল রায়। মুকুল রায়ের দলত্যাগ স্বভাবতই বিজেপির অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকিও দিয়েছিলেন বিজেপি তাদের বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এতদিনে মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করলো কেন্দ্রীয় সরকার। মুকুল রায়ের মাথার উপর থেকে ছাদ কেড়ে নেওয়া হলো। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে এই মর্মে একটি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত মুকুল রায় এই মুহূর্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি সফরে তার সঙ্গে রয়েছেন। তৃণমূল সুপ্রিমোর এই সফরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মুকুল রায়সহ তৃণমূলের তরফের ২২ জন সাংসদ সঙ্গে রয়েছেন। এরই মধ্যে আবার বুধবার রাজ্যসভার সচিবালয় থেকে নোটিশ জারি করে জানানো হয়েছে যে মুকুল রায় এখন যে সরকারই ফ্ল্যাটে অতিথি হিসেবে রয়েছেন, তাকে সেই ফ্ল্যাট শীঘ্রই খালি করে দিতে হবে।
রাজ্যসভার সচিবালয়ের তরফ থেকে নয়াদিল্লির এস্টেট ডিরেক্টরেটের অধিকর্তাকে এই মর্মে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। মুকুল রায় গেরুয়া শিবিরে নাম লেখানোর পর নয়াদিল্লির সাউথ অ্যাভিনিউয়ের আবাসনের ১৮১ নম্বর ফ্ল্যাটটি মুকুল রায়কে বরাদ্দ করেছিল কেন্দ্র। মুকুল রায় ওই ফ্ল্যাট খালি করে দেওয়ার পর বিজেপির রাজ্যসভার সদস্য স্বপন দাশগুপ্তকে সরকারি ফ্ল্যাটটি বরাদ্দ করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ওই নোটিশে।
রাজ্যসভার সাংসদদের এই আবাসনের ফ্ল্যাট বরাদ্দ করা হয় কেন্দ্রের তরফ থেকে। প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি মুকুল রায়কেও তাই ঐ আবাসনের একটি ফ্ল্যাটে অতিথি হিসেবে থাকতে দেওয়া হয়েছিল। তারে মুকুল রায় এখন আর গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে নেই। তাই এই মুহূর্তে তাকে আর ওই ফ্ল্যাটে থাকতে দিতে রাজি নয় কেন্দ্র সরকার। যদিও কেন্দ্রের তরফ থেকে এই মর্মে কোনো কারণ দর্শানো হয়নি।