দীর্ঘ প্রায় দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে দিল্লিতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের দাপট টের পাওয়া গিয়েছে। তবে সম্প্রতি করোনা সংক্রমনের গতি নিচে নামতেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নির্দেশে ধীরে ধীরে আনলক পর্ব শুরু হয়েছে রাজধানী শহরে। দিল্লির এই মুহূর্তে করোনা আক্রান্তের হার ৫ শতাংশের নিচে নেমে গিয়েছে। যার ফলে এখন আর লকডাউন পর্বে ছাড় দিতে দোষের কিছু দেখছে না দিল্লির প্রশাসন।
তবে প্রশাসনের এই মনোভাব দিল্লির পক্ষে বিপদের হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে দিল্লি হাইকোর্ট। শুক্রবার দিল্লি হাইকোর্টের তরফ থেকে আগাম সতর্কবার্তায় জানানো হয়েছে যে করোনা বিধিতে ছাড় দেওয়া হলে সংক্রমণ আরো বাড়তে পারে। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের গতি দ্রুত হতে পারে। যার ফলে দিল্লিতে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দিল্লিতে প্রতিদিন ২৫ হাজারের কাছাকাছি মানুষ সংক্রমিত হতে থাকেন। অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং হাসপাতালের বেডের আকালে দিল্লিবাসীর জীবন সংকটে পড়ে যায়। সংক্রমিত হওয়ার পাশাপাশি বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছিল এই সময়। চিকিৎসার অভাবেও বহু মানুষের মৃত্যু হয়। পরিস্থিতি বিবেচনা করে অরবিন্দ কেজরিওয়াল বাধ্য হয়েই দিল্লিতে লকডাউন ঘোষণা করেন।
এরপর পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হতেই লকডাউনে ছাড় দেয় অরবিন্দ কেজরিওয়ালের প্রশাসন। যার ফলে দিল্লিবাসীর মধ্যেও গা-ছাড়া মনোভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শপিং মল, বাজার দোকানে উপচে পড়ছে ভিড়। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আনা হলে ফের দুর্যোগের মুখে পড়তে হবে দিল্লিকে। এমনটাই আশঙ্কা দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতিদের। যে কারণে হাইকোর্টে তরফ থেকে প্রশাসনকে আগেই সতর্ক করা হলো।