জামা কাপড় অথবা বাড়িঘর অনেকেই বদল করে থাকেন কিন্তু আপনি কি নিজেকে কখনো বদলে ফেলতে চান?? ফেলতেই পারেন কথাই আছে না ভূতের বাবার শ্রাদ্ধ হয় যদি টাকা থাকে। তেমনই ঘটনা ঘটালেন জেনিফার Pamplona। পছন্দের অভিনেত্রী কিম কার্দাশিয়ারের মতো নিজেকে গড়ে নিতে চেয়েছিলেন তিনি।
এর জন্য 5 কোটি খরচ করে ফেলেছিলেন এই মডেল। কিন্তু বেশিদিন গেল না নিজের পুরনো মুখটাকে ভীষণভাবে মিস করতে শুরু করেন তিনি। যেমন ভাবা তেমন কাজ।
1 কোটি খরচ করে নিজের পুরনো চেহারা কে ফিরে পেলেন তিনি। এক সর্বভারতীয় সংবাদপত্র প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, 29 বছরের এই মডেল দীর্ঘ 12 বছর ধরে মোট 40 টি কসমেটিক সার্জারি করেছেন কিন্তু এখন যেন মনে হচ্ছে নিজের মুখের উপর এতটা এক্সপেরিমেন্ট করা ঠিক হয়নি।
আরো পড়ুন: প্রেসিডেন্ট দেশ ছাড়তেই শ্রীলঙ্কায় জা’রি হলো জরুরি অ’ব’স্থা
এক বিবৃতিতে এই মডেল জানিয়েছেন অনেকেই তাকে কিম কার্দাশিয়ান বলে ডাকতে শুরু করেছিলেন কিন্তু যদি ভীষণভাবে বিরতির কারণ হয়ে উঠেছিল তার পক্ষে। পড়াশোনা থেকে কাজকর্ম এমনকি একজন ব্যবসায়ী মহিলা হিসেবে নিজের পরিচয় গড়ে তুলেছিলেন তিনি কিন্তু এতকিছুর পরেও অন্যের মতো কেন তাকে দেখতে হবে এই নিয়ে নিজেই প্রশ্ন তুলেছিলেন নিজেকে।
জেনিফারের যখন বয়স মাত্র 17 বছর তিনি তখন নিজের স্বপ্নের নায়িকার মত হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। সেই সময় দর্শকের দরবারে কিমের জনপ্রিয়তা ছিল ভীষণভাবে তুঙ্গে তাই অন্য কিছু না ভেবে প্রথম অস্ত্র প্রচার করে ফেলেছিলেন তিনি।
শরীরের নিচের অংশে তিনটি এবং মোট আটটি অস্ত্র প্রচার করেছিলেন সারা শরীরে। এছাড়াও মেদ ঝরানোর ইনজেকশন নিয়েছিলেন সব মিলিয়ে মোট 40 রকমের ট্রিটমেন্ট করেছিলেন নিজের ওপর।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেছিলেন, আমি ধীরে ধীরে কসমেটিক সার্জারির উপর আসক্ত হয়ে পড়েছিলাম যেন নিজেকে সুপারমার্কেটে কোন সাজানো জিনিসের সঙ্গে তুলনা করার চেষ্টা করেছিলাম বারবার।
জলের মতো টাকা খরচা করেছি কিন্তু সব কিছুর উপর আমি কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলেছিলাম। এইভাবে বছরখানেক কেটে যাওয়ার পর নিজের শরীরে নানা রকম সমস্যা বুঝতে পারেন তিনি। সেই সময় থেকে নিজের পূরণ রূপকে ফিরে পাওয়ার জন্য আকাঙ্ক্ষা সৃষ্টি হয় তার মধ্যেই।
কম্পিউটার স্ক্রিনে নিজের পুরনো চেহারা দেখেই সর্ব সুখ লাভ করতেন এই মডেল। অবশেষে আরো একবার কোটি কোটি টাকা খরচ করে নিজেকে ফিরে পেয়েছেন এই মডেল। প্রায় দুই বছর পর নিজের জীবনের আসল মানে বুঝতে পেরেছেন এই জেনিফার।
যারা কসমেটিক সার্জারির প্রতি ভীষণভাবে আসক্ত তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন, এই কাজটা ভীষণভাবে মারাত্মক এবং ক্ষতিকারক। নিজের অন্ধকারচ্ছন্ন অধ্যায় কে নিয়ে অ্যাডিশন নামক একটি ডকুমেন্টটিতে কাজ করছেন তিনি বর্তমানে।
