সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

PFI-এর বি’রু’দ্ধে বড় ACTION নি’লো NIA, বিভিন্ন রাজ্যে গ্রে’ফ’তা’র ১৭০

পিএফ্আই বা পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া এই নামটা বর্তমানে সবাই জানে। তাদের হিংসাত্মক কাজকর্মে অতিষ্ট ভারতের জনগণ। তাই তাঁদের এই আগ্রাসন রুখতে জানা যাচ্ছে এনএইএ ও সম্মিলিত পুলিশ বাহিনী মিলে তল্লাশি চালায় পিএফ্আই সদস্যদের একাধিক বাড়িতে। প্রায় আট টি রাজ্যে তল্লাশি চালানো হয় আজ। আর আগেরদিন মত অনেক গুলো পিএফ্আই সদস্যদের গ্রেফতারও করা হয়েছে। মূলত কেন্দ্রীয় সংস্থার গোয়েন্দাদের দিয়ে এই অভিযান চালানো হয়।

দিল্লি, অসম, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র সহ আরও বেশ কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি চালায় কেন্দ্রের টিম। এনআইএ তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, পিএফআই ও তার নেতৃত্বের বিরুদ্ধে প্রচুর ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই আজকের এই অভিযান। গোটা অভিযান প্রক্রিয়ার উপর নজর রাখেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং আরও অন্যান্য কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা।

পিএফআই – এর সদস্যদের বিরুদ্ধে অধ্যাপকের হাত কেটে নেওয়া, একাধিক খুন, বিস্ফোরণ, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার মতো একাধিক ঘটনার সাথে জড়িত রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আর এই সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতেই চালানো হয়েছিল এই অভিযান। অভিযানে উদ্ধার হয় প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ নথি, নগদ টাকা, ধারালো অস্ত্র, ডিজিটাল ডিভাইস।

আরো পড়ুন: মাস্টারমশাই ব্যাগের ভি’ত’রে কি যেন ন’ড়’ছে, পড়ুয়ার ব্যাগ খুলতেই লা’ফ দি’লো গোখরো, ভাইরাল ভিডিও

এর আগে যখন এনআইএ তরফ থেকে তল্লাশি চালানো হয় তখন ন্যাশানাল ইনভেসটিগেশন এজেন্সি, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ও ১৩টি রাজ্যের পুলিস একযোগে অভিযান চালায় মোট ১৫ রাজ্যে। গত ২২ সেপ্টেম্বর কেরল, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, তেলাঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, অসম, দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ, গোয়া, মহারাষ্ট্র, বাংলা, বিহার, মণিপুরে সহ একাধিক রাজ্যে তল্লাশি চালায় এনআইএ। প্রায় ১০৬ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

আর তাঁদের থেকে যে তথ্য পাওয়া গেছে সেই সব কিছুর ওপর ভিত্তি করেই আজকের এই অভিযান। তবে গতবারের ওই তল্লাশির বা গ্রেফতারির পর পিএফ্আই – এর সদস্যরা চুপ করে থাকে নি। গত বৃহস্পতিবারের অভিযানের পরই শুক্রবার বিক্ষোভ দেখাতে রাস্তায় নামে ওই দলের সদস্য এবং সমর্থকরা।

গত শুক্রবার কেরলে প্রায় ৭০টি সরকারি বাসে ভাঙচুর চালানোর ফলে বহু দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর তাঁদের এই হিংসাত্মক কাণ্ডে জড়িত ৫০০ পিএফআই কর্মীকে গ্রেফতারও করা হয় বলে জানা যায়। তবে আজকের এই অভিযানের পর এখনও পর্যন্ত পিএফআই-এর তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি বলেই জানা যাচ্ছে।