সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

লক্ষ্মীর ভান্ডারের কো’নো SMS এ’খ’নো আসেনি? কি করতে হ’বে জেনে নিন বিস্তারিত

গত ১৬ ই আগষ্ট থেকে জেলায় জেলায় বসেছে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প। যেখানে আবেদন করা যাচ্ছে বিভিন্ন প্রকল্পে,যেমন- স্বাস্থ্য সাথী, কৃষক বন্ধু, বার্ধক্য ভাতা,বিধবা ভাতা, লক্ষ্মীর ভান্ডার ইত্যাদি আরও অন্যান্য প্রকল্পে। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বসেছে এই ক্যাম্প। নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন যে যদি তিনি নির্বাচনে জেতেন তাহলে রাজ্যের মহিলাদের জন্য প্রতি মাসে এক ভাতার ব্যবস্থা করে দেবেন। সেই প্রতিশ্রুতি রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী।শুরু হয়েছে নতুন প্রকল্প লক্ষ্মীর ভান্ডার। উল্লেখ্য, ২৫ থেকে শুরু করে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত সমস্ত মহিলারা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।

আবেদনকারীকে পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। তবে রয়েছে একটি শর্ত: যাঁদের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের কার্ড রয়েছে, তাঁরাই মূলত লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য বিবেচিত হবেন। এর কারণ, ফর্মে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের নম্বর লিখতে হবে। কত টাকা করে দেওয়া হবে? তপশিলি জাতি-উপজাতি মহিলাদের মাসে ১০০০ টাকা দেওয়া হবে। সাধারণ তালিকাভুক্ত মহিলাদের মাসে ৫০০ টাকা করে তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা দেবে রাজ্য সরকার।

লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদনের জন্য লাগছিল স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের নম্বর, একটা রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বর, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং Id Proof। লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদনের কয়েকদিনের মধ্যে আপনাদের প্রদত্ত মোবাইল নম্বরে এসএমএস এর মাধ্যমে একটি Application Id পাঠানো হচ্ছে। অথচ এখনও পর্যন্ত অনেকের মোবাইলে কোনো রকম এসএমএস আসেনি? অনেকেই এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।অনেকেই জানতে চাইছেন তাহলে এখন উপায় কী? কোথায় গেলে কিভাবে জানা যাবে। অনেকেই জানাচ্ছেন ফর্ম ফিলাপের ১০ – ১৫ দিন পার হওয়া সত্ত্বেও তাদের মোবাইলে কোনো এসএমএস পাননি তারা। ফলে এই মুহুর্তে কোথায় যাবেন কি করবেন কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না। অনেকের এসএমএস আসছে আবার অনেকের আসছে না কিন্তু কেন? তার কারণ জানুন

ফর্ম ফিলাপের সময় যদি আধার কার্ড,মোবাইল নাম্বার বা স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর নম্বর ভুল দেওয়া হয় তাহলে কিন্তু এসএমএস আসার সম্ভাবনা অনেকটাই কম। বরং না আসার সম্ভাবনা বেশি। এছাড়া আর এক কারণ হতে পারে, যেহেতু দুয়ারের সরকারের প্রচুর ফর্ম জমা পড়ছে তার জন্য এনরোলমেন্ট হতে একটু বেশি সময় লাগতে পারে। তাই এই মুহুর্তে বেশি চিন্তার কোনো কারণ নেই। অনেকে ভাবছেন দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে গেলে হয়তো সহযোগিতা পাবেন। কিন্তু তা ভুল। দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকে এই বিষয়ে কোনোরকম সহযোগিতা করা হবে না বলে জানা গিয়েছে। কারণ দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে শুধুমাত্র প্রকল্পের ফর্ম দেওয়া এবং জমা নেওয়ার কাজ চলছে।

তাই পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দাদের পঞ্চায়েত অফিসে যেতে হবে। সরকারি আধিকারিকদের সাথে কথা বলতে হবে। এছাড়া সমস্ত তথ্য নিয়ে বিডিও অফিসেও যোগাযোগ করা যেতে পারে। বিডিও অফিসে গিয়ে যদি আপনি জিজ্ঞাসা করেন কেন আপনার এসএমএস এখনও আসছে না, অথবা আপনার ফর্ম বাতিল হয়েছে কিনা তাহলে আশা করা যাচ্ছে যে সরকারি আধিকারিকরা হয়তো আপনাকে সাহায্য করতে পারেন। অন্যদিকে শহরবাসীরা যোগাযোগ করবেন এসডিও অফিসে অথবা পৌরসভাতেও যোগাযোগ করা যেতে পারে।

বর্তমানে লক্ষীর ভান্ডার সমস্ত কাজ অফলাইনে হচ্ছে। এতে যদি কোনো কাজ না হয় তাহলে আপনি আপনার মোবাইলে দুয়ারে সরকার লিখে সার্চ করলে যে পেজটি খুলবে তার নিচের দিকে গেলেই দেখতে পাবেন যে লেখা রয়েছে contact with us। দুটি নম্বরের উল্লেখ থাকবে সেখানে, নম্বর দুটি হল (১০৭০/০৩৩-২২১৪৩৫২৬)। এগুলো টোল ফ্রি নম্বর। এছাড়াও একটি ইমেইল আইডি রয়েছে। মেইল আইডি টি হল দুয়ারেসরকার@gmail.com। এই মেইল আইডিতে আপনারা মেইল করেও নিজেদের সমস্যার কথা জানাতে পারেন। সেক্ষেত্রে আশা করা যায় কিছু তথ্য আপনারা পেতে পারেন।