এল নিনো এবং লা নিনার কথা নিশ্চয়ই সবাই জানেন। আসলে এই দুটি সমুদ্র স্রোতের প্রভাবে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে বৃষ্টিপাত এবং খরার পরিস্থিতি নির্ভর করে। আবহাওয়ার বিভিন্ন মডেল অনুযায়ী এল নিনো ও লা নিনার গতিবেগ পর্যবেক্ষণ করেন বিজ্ঞানীরা। প্রশান্ত মহাসাগরে এই দুটি সমুদ্র স্রোতের পরিস্থিতি আবার ফিরে এসেছে।
এল নিনো এবং লালিনা একে অপরের উল্টো। প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব উপকূলবর্তী দেশগুলিতে এল নিনোর প্রভাব দেখা যায়। সাধারণত দুই থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত তারা বারবার ফিরে আসে। মহা সাগরের জলস্তরে তাপমাত্রা এক ধাক্কায় প্রায় চার থেকে ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পায়।
প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিম প্রান্তে এলাকায় বায়ুমণ্ডল অত্যন্ত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। গরম জলের স্রোত বইতে শুরু করে এবং তা পূর্ব দিকে চলে যায়। পূর্ব উপকূলের গরম জল ওই এলাকার তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয় কয়েক গুণ।
আরো খবর: অক্ষয় তৃতীয়াতে কোন কোন রাশির লোকের ভাগ্যে ব’ড়ো চ’ম’ক ঘ’ট’বে? জেনে নিন
সঙ্গে স্থল ভাগে ঘূর্ণাবর্তে পরিস্থিতি তৈরি হয়। সেদিকে পর্যালোচনা করলে ২০১৬ সাল ছিল বিশ্বের উষ্ণতম বছর। কারণ ওই বছরে এল নিনোর জেরে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়েছিল বিশ্ববাসীকে। প্রচন্ড গরমে পাগল হয়ে যাওয়ার জোগাড় হয়ে উঠেছিল বিশ্ববাসীর।
২০১৫ সালে বিভিন্ন প্রান্তে খরা পরিস্থিতি তৈরি হয়।। বৃষ্টির পরিমাণ কমে গিয়েছিল অনেকটাই। তবে ২০২৩ সাল কেমন হতে চলেছে। এই প্রসঙ্গে আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে চলতি বছরে দেশে স্বাভাবিকভাবে বৃষ্টি হবে।