এবার কি তাহলে সামনে আসতে চলেছে নেতাজি রহস্য?? সবার চোখ সেদিকেই কারণ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু যিনি ভারতের এক মহান ব্যক্তিত্ব, তাঁর মৃত্যু চিরকালই এক রহস্যই থেকে গেছে, যে কারণে তার মৃত্যু নিয়ে এক ধোঁয়াশা থেকেই যায়। আদৌ নেতাজি বেঁচে রয়েছেন নাকি অনেক আগেই তার মৃত্যু ঘটেছে এ প্রশ্নের উত্তর স্পষ্ট ভাবে কখনোই আমরা পাইনি। তাই এবার কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিলেন কেন্দ্রীয় সরকারকে নেতাজী সম্পর্কিত রিপোর্ট জমা দেবার জন্য, ফলে এহেন নির্দেশে নেতাজি নিয়ে অস্বস্তি কিছুটা বাড়লও বলা চলে। এখন অব্দি নেতাজী সম্পর্কিত অনেক ফাইল প্রকাশ করা হয়নি, যেমন তার মৃত্যু কিংবা বেঁচে থাকা নিয়ে অনেক কিছুই এখনও সামনে আসেনি।
তবে এবার মোদি সরকারকে সেই তথ্য স্পষ্ট করে জানাতে হবে। হাইকোর্ট আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারকে হলফনামা জমা দিতে বলেছেন। এদিন জনস্বার্থ মামলা করেন হরেন বাগচি যিনি আদালতে আবেদন করেন যাতে ভারতীয় মুদ্রায় গান্ধীজীর পাশাপাশি নেতাজির ছবিও ব্যবহার করা হয়। কারণ স্বাধীনতা আন্দোলনে গান্ধীজীর মত নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর অবদান রয়েছে যথেষ্ট।
তাই তাঁর ছবিও থাকা উচিত বলে মনে করছেন তিনি। প্রচলিত আছে তাইহোকু বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছিলেন নেতাজি। তবে এটা আদৌ কতটা সত্যি তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। সেই দিনই তার মৃত্যু ঘটে ছিল নাকি তারপরেও তিনি বেঁচে ছিলেন? কিন্তু ফিরতে পারেননি দেশে, নাকি ফিরে এসেছিলেন পরিচয় আত্মগোপন করে ? এধরনের হাজারো প্রশ্ন ভিড় জমায় আমাদের মনে।
গোটা বিশ্ব আসল সত্যটা জানতে পারেননি আজও। ২০১৫সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ষ্ট্রিট আর্কাইভে থাকা নেতাজী সম্পর্কিত সমস্ত গোপন ফাইল প্রকাশ করেছেন, তবে আজও নানান রহস্যের মোড়কে মোড়া রয়েছে নেতাজির মৃত্যু রহস্য। একপক্ষ দাবি করেছেন তার তাইহোকু বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল তাঁর, কিন্তু অপরদিকে এমন অনেক তথ্য মিলেছে যাতে এটি প্রমাণ হয় না যে নেতাজির সেদিন সে বিমান দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিলেন। তাই এবার কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিলেন এই রহস্য উন্মোচন করতে, তাই সেদিকেই তাকিয়ে আছে গোটা বিশ্ব। কি সেই সত্য যা আমাদের কাছে আজও অজানা, এ এক তীব্র আকাঙ্ক্ষা জানবার।