প্রত্যেক নেতা-মন্ত্রীরা যতই প্রতিনিয়ত আমাদের চাকরি স্বপ্ন দেখায় না কেন আমরা অন্তত জানি আমাদের ভারত বর্ষ বিশেষত পশ্চিমবঙ্গে চাকরির অবস্থা কতোটা বেহাল। তাই সরকারি চাকরি তো দূরের কথা আপাতত বেসরকারি চাকরির স্বপ্ন অনেক মানুষ দেখেন না। সকলেই প্রয়োজন মতো নিজস্ব ব্যবসা অথবা ছোটখাটো কাজ খুঁজে নেন। শিক্ষাগত যোগ্যতা সেখানে শুধুমাত্র একটি কাগজ হয়ে থেকে যায়। আজ কথা বলব চন্দ্রকোনার সাগরিকা পল্লবীর কথা, যিনি রসায়নে স্নাতক হয়েও কোন চাকরি পাননি অবশেষে বেছে নিয়েছেন বাস কন্টাকটারের কাজ।
চন্দ্রকোনা থেকে কলকাতা স্টেশন পর্যন্ত দূরপাল্লার বাসে কন্টাকটারি করেন এই মেয়েটি। প্রতিদিন ভোর বেলা তিনটার সময় ঘুম থেকে উঠে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে পড়েন ভোর পাঁচটার মধ্যে। সময়মতো পৌঁছে যান চন্দ্রকোনা টাউন কেন্দ্রীয় বাস স্ট্যান্ডে। এখান থেকেই ভোর সোয়া পাঁচটা নাগাদ কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হয় বাস।
স্নাতক পরীক্ষায় পাশ করেও চাকরি না পাওয়ায় স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য কয়েক মাস আগে একটি বাস কিনে নেন সাগরিকা। তারপর থেকে নিজের বাসে নিজে কন্টাকটারি করেন। এই কাজে তাকে সমর্থন করেন তার স্বামীও। সকালের পাশাপাশি স্থানীয় শ্রমিক সংগঠন সাগরিকার এই কাজকে স্বাগত জানিয়েছেন।
সাগরিকার এই কাজকে প্রশংসা করে ঘাটাল তৃণমূল পরিবহনের নেতা মেহের আলী খান জানিয়েছেন, এই প্রথম জেলায় কোন মহিলা কন্টাক্টরের কাজ করছেন। আশা রাখি তাকে দেখে অনেক মহিলা এই কাজে এগিয়ে আসবেন। অনেকেই যদি এই কাজে আগ্রহ দেখান তাহলে অদূর ভবিষ্যতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। এই প্রসঙ্গে সাগরিকা নিজে জানান, পরিবারের অনেকেই এই কাজ প্রথমে মেনে নিতে পারেনি। কিন্তু পরে আস্তে আস্তে সকলেই রাজি হয়। কোন কাজই ছোট নয়।