সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

গ্রহাণুর ধা’ক্কা থেকে বিশ্বকে বাঁ’চা’তে মহাকাশে “আত্মঘাতী” রকেট পা’ঠা’চ্ছে NASA

সামনেই পৃথিবীর বড়সড় বিপদ। কারণ পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে অ্যাস্টেরয়েড বা গ্রহাণু। এখন একটাই চিন্তা যদি সেই গ্রহাণু কোনও জনবহুল এলাকায় এসে পড়ে তাহলে প্রাণনাশ এবং সম্পত্তিক্ষয়ের আশঙ্কা আছে। তবে নাসার পক্ষ থেকে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে যে পৃথিবীর কাছাকাছি সেটি এসে পৌঁছানোর আগেই মহাকাশে তাকে ধ্বংস করে দেওয়া হবে। আগামী নভেম্বরেই প্রথম পরীক্ষামূলক মিশন রকেট পাঠাচ্ছে নাসা। তবে এই মিশনে কোনও মহাকাশচারী থাকবে না।

২৩ নভেম্বর ডাবল অ্যাস্টেরয়েড রিডাইরেকশন টেস্ট (DART) মিশন লঞ্চ করতে চলেছে নাসা। এই ডার্ট মিশন হল নাসার প্রথম প্ল্যানেটরি ডিফেন্স মিশন। এই মিশনের লক্ষ্য ভবিষ্যতে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা উল্কা, গ্রহাণু বা অ্যাস্টেরয়েডকে পথ থেকে সরিয়ে দেবে। মহাকাশে একটি যান পাঠানো হবে যা ৬.৬ কিমি প্রতি সেকেন্ডে আঘাত করবে অ্যাস্টেরয়েডের উপগ্রহকে, বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলা হয় মুনলেট। এই ধাক্কার ফলে উপগ্রহটির আবর্তন গতি এক শতাংশ কমে যাবে। তাতে প্রদক্ষিণের সময়সীমাতেও ঘটবে পরিবর্তন। এই পরীক্ষার জন্য ডিডাইমোস নামক এক অ্যাস্টেরয়েডকে বেছে নেওয়া হয়েছে বলে খবর।

সূত্রের খবর, ১৯৬৯ সালে ডিডাইমোস গ্রহাণুটি আবিষ্কৃত হয়েছিল। আর ২০০৩ সালে এই গ্রহাণুটির একটি উপগ্রহ সম্বন্ধে ধারণা পাওয়া যায়। উপগ্রহটির নাম ডিফর্মোস। ডিডিমোসের ব্যাস ৭৮০ মিটার এবং ডিফর্মোসের ৫২৫ ফুট। ২৩ নভেম্বর ক্যালিফোর্নিয়ার ভ্যান্ডেনবার্গ বিমান ঘাঁটি থেকে স্থানীয় সময় সকাল ১০টা বেজে ২০ মিনিটে একটি স্পেস-এক্স ফ্যালকন ৯ রকেট ছাড়া হবে। মহাকাশে সেটি এক বছর উড়বে এবং তারপর ডিডাইমোস এবং তার উপগ্রহ ডিমর্ফোসের কাছে পৌঁছবে। তখন পৃথিবী থেকে গ্রহাণুটির দূরত্ব হবে ১.১ কোটি কিলোমিটার। হুম, শুনতে বহু দূর মনে হচ্ছে ঠিকই কিন্তু বিজ্ঞানীরা পৃথিবীতে বসেই টেলিস্কোপের সাহায্যে পুরো ঘটনাটির নজরদারি চালাবেন। তাই আশা করা যাচ্ছে যে যদি নাসার এই পরীক্ষা সফল হয় তবেই ভবিষ্যতে এই উপায়ে আরও মহাজাগতিক বিপদ থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করা সম্ভব হবে।