মেয়েদের বিয়ের বয়স বৃদ্ধি করা নিয়ে ইতিমধ্যেই তোলপাড় হয়ে গেছে সোশ্যাল মিডিয়া। কেউ পক্ষে কেউ বিপক্ষে কথা বলছেন। ঠিক এমন সময় প্রকাশ্যে এল পাঞ্জাব এবং হরিয়ানার হাইকোর্টের এমন একটি পর্যবেক্ষণ যা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। আদালত বলছে, বয়সন্ধি বেরিয়ে গেলেই বিয়ে করতে হবে মুসলিম মেয়েদের অর্থাৎ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার জন্য কোন বয়সের বন্ধন থাকবে না। এক মুসলিম নাবালিকা এবং হিন্দু যুবকের বিয়ে সংক্রান্ত মামলার রায় দিতে গিয়ে এমনটাই জানিয়েছে আদালত। আদালতের রায় অনুযায়ী, বয়সন্ধি পেরোনোর পর মেয়েদের বিবাহ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত কোন পরিবারের সদস্যরা হস্তক্ষেপ করতে পারে না।
প্রসঙ্গত, 17 বছর বয়সী একজন মেয়ে তার হিন্দু প্রেমিককে বিয়ে করেছে। স্বাভাবিকভাবেই এই বিয়েতে মত ছিল না মেয়েটির পরিবারের। হলে বিয়ে ঠিকই অবৈধ বলে দাবি করেছেন তারা। আদালতে পিটিশন দাখিল করে মেয়েটি। মেয়েদের এই পিটিশনের সূত্র ধরে বিচারপতি গিল জানিয়েছেন, মেয়েটির পরিবারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে মেয়েকে বিয়ে করেছে বলে এই নয় যে, সে মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত থাকবে।
এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিচারপতি জানিয়েছেন, প্রিন্সিপাল অফ মোহামেডান বাই সার ফারদুঞ্জি মুল্লা, আইনের উল্লেখ করে বলেছেন, ইসলাম ধর্ম বলে মেয়েরা বয়সন্ধি পেরোলেই বিবাহযোগ্য হয়ে যায়। সেই সময় নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী পাত্রকে বিয়ে করতে পারে তারা। এই মামলায় পিটিশনের বয়স ১৭ বছর। অর্থাৎ মেয়েদের বিয়ের বয়স হয়ে গেছে। এই সময় মেয়েটি স্বইচ্ছায় বিয়ে করতে চাইলে কারোর কোন আপত্তি থাকার কথা নয়।