সেলিব্রিটি হোক অথবা সাধারণ মানুষ, সকলেই এখন শরীরে ট্যাটু করতে বেশ পছন্দ করেন। আজ থেকে কিছু বছর আগেও হরিয়ানা অথবা পাঞ্জাবের গ্রামের মানুষেরা যাকে উল্কি বলতেন, সেটাকেই আমরা মডিফাই করে ট্যাটু বলে ডাকি। বর্তমানে নিজেকে কুল এবং সেক্সি দেখানোর অন্যতম মাপকাঠি হল শরীরে তৈরি করা এই ট্যাটু।
ossum…
— Mou Pal (@MouPal14) May 4, 2018
আজ কথা বলব সেলিব্রিটি তথা সংসদ মিমি চক্রবর্তীর কথা। এমনিতেই তাঁর ফলোয়ার সংখ্যা অগুনতি। অন্যান্য তারকাদের থেকে মিমি চক্রবর্তীর ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল ফলোয়ারের সংখ্যা বেশ অনেকটাই বেশি। অভিনেত্রী ও নিজের ফলোয়ার সংখ্যা ধরে রাখার জন্য মাঝে মাঝেই বেশ সুন্দর সুন্দর ছবি পোস্ট করেন।
চলুন আজকে জেনে নেওয়া যাক অভিনেত্রী শরীরে কোথায় কোথায় রয়েছে ট্যাটু। অভিনেত্রী ডান হাত এবং ডান দিকে তলপেটে ট্যাটু রয়েছে। ডান হাতের নটরাজ ট্যাটুটির কথা আমরা সকলেই জানি। এই ট্যাটুটি সবসময় ক্যামেরার সামনে তুলে ধরেন অভিনেত্রী। তাছাড়া তলপেটের মাঝে মাঝেই প্রকাশ পায় শাড়ির ফাঁক দিয়ে।
তবে আপনারা হয়তো জানেন না তলপেটের এই ট্যাটুটি শুধুমাত্র করা হয়েছে দাগ লুকানোর জন্য। ডান দিকে তলপেটে একটি পাতার তৈরি করে রেখেছেন অভিনেত্রী কারণ অ্যাপেন্ডিক্স এর অপারেশন হয়েছিল অভিনেত্রীর এবং সেই ক্রপ টপ অথবা অন্য যে কোন ছোট পোশাক পড়তে গেলে এই কাটা দাগ স্পষ্ট হয়ে যেত সকলের সামনে। এই দাগ লুকানোর জন্য কার্যত এই ট্যাটুটি করেছিলেন অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী।
একবার সংবাদমাধ্যমই সামনে মিমি চক্রবর্তী বলেছিলেন, কাটা দাগটা সত্যিই অদ্ভুত লাগছিল তাই ভাবলাম সেটিকে ঢাকার জন্য একটি ট্যাটু তৈরি করে ফেলা যাক। ট্যাটু তৈরি করলে আমি ছোট পোশাক পরতে পারব।
প্রসঙ্গত, নটরাজ ট্যাটুটিকে নিজের লাকি চার্ম বলে মনে করেন মিমি চক্রবর্তী। সর্বপ্রথম এই ট্যাটুটি তৈরি করার পর তিনি সর্বক্ষেত্রে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। এই ট্যাটুর ছবি পোস্ট করে তিনি একবার লিখেছিলেন, আমার বিশ্বাস, আমার নটরাজ, আমার শিব, আমার ভক্তি।