আজও এই সমাজে সংসার ভাঙ্গা-গড়ার দায়ভার একা মহিলাদের উপরই চাপিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ে থাকলে সোজাসুজি আঙ্গুল তোলা হয় মেয়েটির দিকে। তাই শত কষ্টে ও অত্যাচার সহ্য করেও অনেকেই বিয়েটা টিকিয়ে রাখেন। সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেলে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। বাংলাদেশী অভিনেত্রী শবনম ফারিয়াও আত্মহত্যাই করতে গিয়েছিলেন।
সম্প্রতি বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুখ খুলে ছিলেন অভিনেত্রী লোপা সুলতানা, শবনম ফারিয়ার মতো তারকারা। জনপ্রিয় অভিনেত্রী নিজের দাম্পত্য জীবনের নানান খারাপ অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন এই পরিপ্রেক্ষিতে। জানিয়েছেন তিনিও বধূ নির্যাতনের শিকার।
শবনম জানিয়েছেন তার স্বামীর বিয়ে 3 মাসের মধ্যেই তার উপর অত্যাচার করতে শুরু করেন। এমনকি একসময় তার হাত ভেঙেও দিয়েছিলেন। পুরো ব্যাপারটাই গোপন করে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। কারণ তার ভয় ছিল, লোকে কি বলবে! এই লোকটার সঙ্গেই তাকে থাকতে হবে। ধরেই নিয়েছিলেন তিনি।
তবে জীবনের কঠিনতম দিনে তিনি তার মাকে পাশে পেয়েছেন। তিনি সামাজিক পোস্টে বলেছেন কারো সম্মান নষ্ট করতে এই পোস্ট নয়। বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠানের উপরে তার আস্থা রয়েছে। তিনি তার বন্ধুদেরও বিচ্ছেদের পথে না গিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেন। তবে সেই সময় তিনি বেঁচে গিয়েছিলেন তার মা এবং বোন পাশে ছিলেন বলে।