সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

মুকুল বলছেন আমি বিজেপিতেই, গেরুয়া শিবির বলছে না, পদ্মশিবির কি বলছে?

মুকুল রায় হলেন পশ্চিম বাংলার একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ। ২০১১ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত তিনি ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের রেলমন্ত্রী ছিলেন।২০১৭ সাল পর্যন্ত তিনি ভারতীয় সংসদের রাজ্যসভার এবং সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য ছিলেন । এরপর ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ভারতীয় জনতা পার্টিতে জাতীয় সহ-সভাপতি ছিলেন।

কিন্তু বর্তমানে তিনি সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের একজন নেতা।মুকুল রায়ের ছেলে শুভ্রাংশু রায় দাবি করেন যে সোমবার থেকে তার বাবাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।মুকুল রায় অসুস্থ। তার বাবাকে কেউ অপহরণ করেছে। অন্যদিকে এই নিখোঁজ মুকুল রায়কে দেখতে পাওয়া যায় দিল্লিতে।

সেখানে তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি বর্তমানে একজন বিজেপি বিধায়ক। ভবিষ্যতেও বিজেপির সঙ্গেই থাকতে চাই। পার্টি আমাকে এখানে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছে । এখন আমি অমিত শাহ ও জেপি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করতে চাই।’ মুকুল রায়কে আবার বিজেপিতে যোগ দেওয়ানো প্রসঙ্গে বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন ,”আমরা এই সব আবর্জনা আর আমাদের দলে চাই না।”

মুকুল আবার বিজেপিতে যোগ দিতে চাইলেও রাজ্য বিজেপির বেশিরভাগ নেতাই চান না মুকুল বিজেপিতে আবার যোগ দিক। এর পিছনে প্রধান পাঁচটি কারণ রয়েছে—

আরো খবর: হায় রে! তী’ব্র গরমের মা’ঝে তৃণমূল বিধায়ক বি’ত’র’ণ করলেন কম্বল, দিলেন সাফাই!

বিজেপির হয়ে কৃষ্ণনগর উত্তর আসন থেকে জয়ের পরেই তৃণমূলে যোগ দেন মুকুল। তিনি দলের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। তৃণমূলের হয়ে সেই এলাকায় তিনি ও তার দলবল বিজেপি কর্মীদের ওপর অত্যাচার চালিয়েছে।

মুকুল এখনও বিজেপির বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করেননি। দলেরই একজন বিধায়ককে নতুন করে দলে যোগ দেওয়ানো, ব্যাপারটা খুবই হাস্যকর হবে।

মুকুল তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে সোচ্চার হয়েছিল রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্ব। এমনকি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল তারা। তাই মুকুলের সাথে কাজ করা কঠিন হবে রাজ্য বিজেপি নেতাদের।

মুকুলের পরে আরও পাঁচ জন বিজেপি বিধায়ক প্রলোভনের পেয়ে তৃণমূলে যোগ দেয়।এতে মুকুলের ভূমিকা ছিল।যে সব বিজেপি বিধায়করা মুকুলের প্রলোভন প্রত্যাখ্যান করে দলে ত্যাগ করেনি,তাদের অসম্মান করা হবে।

মুকুলের মানসিক স্থিতি ঠিক নেই। ছেলে শুভ্রাংশু রায় দাবি করেছেন তার বাব ‘মানসিক রোগী’।

তবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কোনও সিদ্ধান্ত নিলে তা মেনে নিতেই হবে,এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্য নেতৃত্ব।