সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

শ্রা’দ্ধ ক’রা হ’লো মুকুল রায়ের, গঙ্গা জল দি’য়ে সা’ফ ক’রা হ’লো বিজেপি দ’প্ত’র

চলতি বছরের বিধানসভা ভোটকে কেন্দ্র করে বছরের শেষের দিক থেকেই শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে দল বদলের গল্প। অসংখ্য তৃণমূল নেতা নেত্রীরা তৃণমূলে ছেড়ে যোগদান করেছিল বিজেপিতে, কিন্তু শাসন ব্যবস্থা যখন আবার তৃণমূলের হাতে ফিরে এল সেই মুহূর্তে সেই সমস্ত তৃণমূল ত্যাগী নেতারা আবার তৃণমূলে এসে উপস্থিত হল। কয়েক বছর আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন মুকুল রায়। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে কৃষ্ণনগরের হয়ে তিনি দাঁড়িয়ে ছিলেন এবং সেখানে তিনি জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু তারপর থেকে রাজনৈতিক কাজকর্মের ক্ষেত্রে তাকে খুব একটা বেশি দেখা যায়নি এবং যার পরেই যথেষ্ট জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছিল মুকুল রায়কে নিয়ে। তবে অবশেষে সমস্ত জল্পনা শেষ করে দিয়ে গত সপ্তাহেই মুকুল রায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন এবং তারপরেই রাজনৈতিক মহলে এক বিরাট সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে মুকুল রায়কে ঘিরে।

মুকুল রায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়ার পরপরই বিজেপির কিছু কর্মীরা করে ফেললেন একটা নতুন কান্ড। মুরলীধর সেন লেনে একটি বিজেপির কার্যালয় রয়েছে এবং সেই কার্যালয়ের বাইরে যুব মোর্চার কর্মীরা মিলে মুকুল রায়ের ছবি রাখেন এবং তার পরে পুরো কার্যালয়টি গঙ্গা জল দিয়ে শোধন করেন। অর্থাৎ তারা একভাবে মুকুল রায়ের পরলোকগমনের কার্য সম্পন্ন করলেন। মুকুল রায় বিজেপি ছেড়ে যেতে তৃণমূলে যাওয়ার ব্যাপারটা গেরুয়া শিবির একদম ভালো মতই নেয়নি।

এই ব্যাপারটিকে নিয়ে একটি প্রশ্ন ওঠে, মুকুল রায় বিজেপি ছেড়ে দেওয়ার ফলে বিজেপির কোনো লাভ বা ক্ষতি হয়েছে কিনা? এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষ নাম না করে বলেন যে, “কিছুই লাভ হয়নি। একটা গাছের পুরনো পাতা ঝরে পড়ে গেলে যেমন কোনো লাভ হয়না, তেমনি সেই পাতাটি গাছের কোন কাজে লাগে না বরং পড়ে গেলে সেইখান থেকে নতুন একটি পাতার জন্ম হয়”।

সৌমিত্র খাঁ মুকুল রায়কে কেন্দ্র করে বলেন যে, “২০২১ সালে একদম চোখের সামনেই মীরজাফরকে দেখে নিলাম।” অর্জুন সিং মুকুল রায়কে গদ্দার বলে সম্মোধন করেছেন। শুভেন্দু অধিকারী মুকুল রায় কে কেন্দ্র করে বলেন যে, “কোনদিনই মুকুলদা কোন জায়গা থেকেই জিততে পারেনি, শুধুমাত্র বিজেপি টিকিট পেয়েছিল বলেই তিনি জিততে পেরেছেন। তার বদলে কৃষ্ণনগরে যদি অন্যকেও দাঁড়াতো বিজেপির হয়ে তাহলে তিনিও জিততেন। কৃষ্ণনগরে বেশিরভাগই বিজেপি, সেই জন্যে তিনি জিততে পেরেছেন। ২০০১ এ জগদ্দলের জন্য তাকে টিকিট দেওয়া হয়েছিল, সেই সময়ও তিনি জিততে পারেননি। বিজেপি তাকে ২০ বছর পর টিকিট দিয়েছেন এবং সেখানেই তিনি জিততে পেরেছেন”। সুতরাং বোঝা যাচ্ছে যে, মুকুল রায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল যাওয়ার পর রাজনৈতিক মহলে তাকে ঘিরে যথেষ্ট সমালোচনার ঝড় বইছে।