গত বছর থেকেই একের পর এক প্ল্যানের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে প্রত্যেকটি বেসরকারি টেলিকম সংস্থা। ঋণের বোঝা কমানোর জন্য এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলেন, এমনটাই জানিয়েছিলেন টেলিকম সংস্থা গুলি। কিন্তু এবার ঋণের বোঝা কমানোর পদক্ষেপ নিতে গিয়ে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিনের পর দিন কমে যাচ্ছে তা কিন্তু বেশ টের পাচ্ছে মোবাইল সংস্থাগুলি।
সম্প্রতি টেলিফোন রেগুলেটরী অথরিটি অফ ইন্ডিয়া তরফ থেকে একটি প্রকাশিত রিপোর্টে জানা গেছে, ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে ১২.৮ মিলিয়ন মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমে গেছে। সবথেকে বেশি কমে গেছে জিও গ্রাহক, তার পরেই রয়েছে ভোডাফোন আইডিয়া।
রিপোর্টে জানা গেছে, গত বছর ডিসেম্বর মাসে জিওর গ্রাহক কমেছে প্রায় ১.২৯ কোটি, এরপরে সাবস্ক্রিপশন অথবা গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪১.৫৭ কোটিতে, একই অবস্থা রয়েছে ভোডাফোন আইডিয়ার। গত বছর ডিসেম্বর মাস থেকে প্রায় গ্রাহকসংখ্যা হারিয়েছে ভোডাফোন আইডিয়া ১৬.১৪ লাখ, ফলে বর্তমানে গ্রাহকসংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে ২৬.৫৫ কোটিতে। কিন্তু এয়ারটেলের অবস্থা কিন্তু একেবারে অন্যরকম। এই কয়েক মাসে গ্রাহক সংখ্যা কিন্তু বেশ কয়েকটি বাড়িয়ে ফেলেছে এয়ারটেল।
আরো পড়ুন: ৫০ লক্ষ বাড়ি বা’নি’য়ে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা স্থি’র করলো রাজ্য সরকার
এই মোবাইল গ্রাহক সংখ্যা কমে যাওয়ার পেছনে অনেকগুলো কারণের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো, রিচার্জ এর দাম বেড়ে যাওয়া। ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে এয়ারটেল প্রথম ঘোষণা করেছিল যে, রিচার্জের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হবে। প্রত্যেকটি প্লান এর ক্ষেত্রে 25% করিয়ে দাম বৃদ্ধি করার কথা ঘোষণা জানিয়েছিলেন প্রত্যেক টেলিকম সংস্থা। এর ফলে অনেকেই কানেকশন বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
আরো পড়ুন: আমাকে ছুঁয়েও দে’খে না স্বামী! রিতেশকে ডি’ভো’র্স দিচ্ছেন রাখি
অনেকে আবার দুটি কানেকশন এর মধ্যে যেকোনো একটিকে বেছে নেন কথা বলার জন্য। তবে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমে গেলেও ভারতের ব্রডব্যান্ড পরিষেবা সংখ্যাকে বিছিয়ে দিয়ে এগিয়ে গেছে জিও। অন্যদিকে এবার স্যাটেলাইট পরিষেবা দেবার দিকে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এই টেলিকম সংস্থা। নতুন এই পদক্ষেপের ফলে অদূর ভবিষ্যতে কিছুটা হলেও লাভজনক অবস্থায় পৌঁছতে পারবে মুকেশ আম্বানির সংস্থা, সেটাই মনে করা হচ্ছে।