সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

শাশুড়ির উ’চি’ত পুত্রবধূকে দেখা, একজন মহিলাই যদি অন্য মহিলার উপর অ’ত্যা’চা’র করে!: সুপ্রিম কোর্ট

পণের দাবিতে পুত্রবধূকে দিনের পর দিন অত্যাচার করা, তাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়ার অভিযোগ এর আগেও বহুবার উঠেছে। এবার এমনই একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট শাশুড়িকে একজন মহিলা হিসেবে অপর এক মহিলা অর্থাৎ তার পুত্রবধুকে নিরাপত্তা না দেওয়ার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দণ্ডিত করলো। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, একজন মহিলা যদি আরেকজন মহিলাকে নিরাপত্তা না দেন তাহলে তিনি আরও বেশি দুর্বল হয়ে পড়বেন।

এক মহিলার মৃত্যু মামলাকে কেন্দ্র করে এই মামলায় উঠেছিল সুপ্রিম কোর্টে। অভিযোগ ছিল, ওই মহিলার শাশুড়ি এবং ননদরা মিলে তার উপর অত্যাচার করতেন। ওই মহিলার স্বামী কাজের সূত্রে থাকতেন অন্য জায়গাতে। পণের দাবী নিয়ে অত্যাচার চালানো হতো পুত্রবধূর উপর। শেষমেষ গায়ে আগুন দিয়ে আত্মঘাতী হন ওই মহিলা। সুপ্রিমকোর্ট এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শাশুড়িকে অধিক দোষী সাব্যস্ত করেছেন।

একজন মহিলা যখন আর একজন মহিলার উপর অত্যাচার করছেন তখন তা গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হওয়া উচিত বলে সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে। কারণ একজন মহিলা যদি আরেক মহিলাকে নিরাপত্তা না দেন তাহলে তিনি দুর্বল হয়ে পড়েন। এক্ষেত্রে শাশুড়ির তার প্রতি আরেকটু সংবেদনশীল হওয়া উচিত ছিল। তা না করে তিনি তার উপর দিনের পর দিন অত্যাচার করেছেন, তাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছেন।

উল্লেখ্য এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। মাদ্রাজ হাইকোর্টে তারা প্রত্যেকেই দোষী সাব্যস্ত হন। তাদের প্রত্যেকের এক বছরের জেল এবং হাজার টাকা জরিমানা ও তার সঙ্গে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার জন্য 2000 টাকা জরিমানা ও তিন বছরের জেলের শাস্তি দেওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্ট অভিযুক্তের বয়স বিবেচনা করে এক বছরের বদলে তিন মাস জেলের নির্দেশ দিয়েছে। সঙ্গে জরিমানা বহাল থাকছে।