সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

বাংলাদেশের দিকে ধা’বি’ত হচ্ছে “মোকা”, সংক’টে রোহিঙ্গারা

বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে চলেছে ঘূর্ণিঝড় মোকা। আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে প্রবল হওয়ার সঙ্গে হবে তীব্র জলোচ্ছ্বাস। উপকূলবর্তী এলাকাতে বিপর্যয়ের সম্ভাবনা। বিপদ সংকেত শোনা যাচ্ছে রোহিঙ্গা শিবির গুলিতে। আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে বাংলাদেশের দিকে ক্রমশই ধেয়ে আসছে মোকা। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ বাড়ছে।

কেন্দ্রে ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৯০ কিলোমিটার দমকা অথবা ঝড়ো হওয়ার আকারে প্রায় ১১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত যাচ্ছে। এই ঝড়ের আতঙ্কতে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ছাড়তে শুরু করেছেন। সেখানকার বাসিন্দারা এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সেন্ট মার্টিনের বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে আশ্রয় নেন এই দ্বীপের প্রায় ৫ শতাধিক বাসিন্দা।

এই ব্যাপারে সেন্ট মার্টিন ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান জানিয়েছেন, এই ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা জানার পর থেকেই এর পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। কক্সবাজারের টেকনাফে চলে গিয়েছে পাঁচ শতাধিক মানুষ। তিনি নিজেও টেকনাফে রয়েছেন।

ফিশিং বোড সহ বিভিন্ন নৌজানের মাধ্যমে দ্বীপের বাসিন্দাদের নিরাপদে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এই ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছেন, স্থানীয়দের জন্য সরকারি এবং বেসরকারি ৮৭ টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

আরো খবর: হাইকোর্টের রা’য়ে ধর্ণা ম’ঞ্চে সেলিব্রেশন আন্দোলনকারীদের, নিয়োগের আ’শা’য় চাকরিপ্রার্থীরা

এছাড়া নৌবাহিনীসহ, বিজিবি, পুলিশ, মেডিকেল টিমসহ স্বেচ্ছাসেবীদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। জেলায় সব সরকারি আধিকারিকদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। নটি উপজেলায় ৪৪৬ টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র তৈরি রাখা হয়েছে। এখানে ২ লক্ষ ৩৫ হাজার ৯৭৫ জন মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন।

ঝড়ের কথা উঠলেই প্রথমেই নাম চলে আসে খুলনা, সাতক্ষীরা এবং বরিশালের। আগের সবকটি ঘূর্ণিঝড় এই প্রথমে সাতক্ষীরা খুলনা এবং বরিশাল উপকূলে আঘাত করেছে। তবে এইবারের ঝড় কক্সবাজার এবং মায়ানমার উপকূলের দিকে এগোচ্ছে।