সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

মিস ইউনিভার্স, বয়সের ভা’রে কেউই যোগাযোগ রা’খে’ন না! কাজহীন জী’ব’ন কা’টা’চ্ছে’ন সুস্মিতা সেন

১৯৯৪ সালে প্রথমবার ভারতের মুকুটে ‘Miss Universe’-এর শিরোপা জুড়েছিল যে নারী তার কথা নিশ্চয়ই মনে আছে! হ্যাঁ তিনিই বলিউডের একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সুস্মিতা সেন। Miss Universe জয়ের ঠিক ২ বছর পরেই ১৯৯৬ সালে দস্তক সিনেমার হাত ধরে বলিউড জগতে আত্মপ্রকাশ ঘটে এই অভিনেত্রীর।

তারপর নিজের অভিনয় দক্ষতা দিয়ে দর্শকদের মনে পাকাপাকিভাবে জায়গা করে নেন এই বঙ্গ তনয়া।এছাড়া প্রথম ভারতীয় হিসেবে তিনি মাত্র ১৮ বছর বয়সে ফেমিনা মিস ইন্ডিয়ার মুকুটও জিতেছিলেন। তার অভিনয় বিটাউনে ব্যাপক সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন। আর এ কারণেই একাধিক পুরস্কারও পেয়েছেন তাঁর দীর্ঘ অভিনয় জীবনে।

একের পর এক হিট সিনেমা উপহার দিয়ে গেছেন দর্শকদের। তবে বর্তমান সময়ে সুস্মিতা সেন বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে একেবারে বাতিলের খাতায় বললেই চলে। ২০১০ সালের পর তাকে আর কোনো সিনেমায় অভিনয় করতে দেখা যায়নি। শেষ বারের মতো তাঁকে দেখা গিয়েছিল ‘দুলহা মিল গয়া’ সিনেমায়, যেখানে তিনি অভিনয় করেছিলেন ফারদিন খানের বিপরীতে।

আরো পড়ুন: তিস্তা নদীতে মৎস্যজীবীর জা’লে ধ’রা পড়লো দৈত্যকার “মহাশোল”, দাম শু’ন’লে আঁ’ত’কে উঠবেন

এর পর প্রায় ১০ বছরেরও বেশি সময় কেটে গিয়েছে, তবুও বড়পর্দায় সুস্মিতার দেখা মেলেনি। তবে গত বছর ওটিটি প্ল্যাটফর্মের এক জনপ্রিয় ওয়েব সিরিজ ‘আর্যা’তে তিনি কামব্যাক করেন।

বড়পর্দা থেকে এই লম্বা বিরতি নেওয়ার কারণ কি তা জানতে চাওয়া হলে অভিনেত্রী জানান, এতদিন বলিউড থেকে তাঁর কাছে একাধিক সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব আসলেও সেই চরিত্রগুলো তাঁর একেবারেই পছন্দ হয়নি। তাই এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছিলেন। তবে এক্ষেত্রে তার গলায় অভিমানের সুর স্পষ্ট বোঝা গেছে।

সুস্মিতা আরও জানান, “অভিনয় জীবনে এই ১০ বছরের বিরতিতে নিজের জীবনের লক্ষ্যগুলো আমার চোখের সামনে স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। নিজের কেরিয়ার ও জীবন থেকে আদতে কী কী আমি চাই বা চাই না সেগুলো সম্বন্ধে ধারণা করতে শিখেছি। সেদিক থেকে দেখতে গেলে আমার বয়সটাও অবশ্যই একটি ফ্যাক্টর।

আরো পড়ুন: হু-হু করে চ’ড়’বে পারদ, শীঘ্রই ভী’ষ’ণ গরমে হাঁ’স’ফাঁ’স করবেন রাজ্যের মানুষজন

বড়পর্দায় ভালো চরিত্রে প্রস্তাব পাওয়ার ক্ষেত্রে আমার বয়স একটা বড়সড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। আর তাছাড়া কাজ পাওয়ার জন্য আমি কারোর কাছে মুখ ফুটে বলতে পারি না। কীভাবে কাজ চাইতে হয়, সেই ব্যাপারেও আমি ভীষণ অনভিজ্ঞ একটি মানুষ। তাই ছোটাছুটি করে কাজ চাওয়ার ব্যাপারে একটা তীব্র অনিচ্ছা কাজ করে আমার মধ্যে।”