সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

দুটি হাতই নেই, শুধু পা দি’য়ে ভিডিও করেই হাজার হাজার টা’কা ইনকাম ক’র’ছে মিরাজুল

আমাদের সকলের জীবনেরই পরিসর টা সোশ্যাল মিডিয়া এসে বাড়িয়ে দিয়েছে। কয়েক মিনিটের ব্যবধানেই এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তের খবর পেয়ে যায় আমরা কয়েক মুহূর্তের মধ্যে। সেরকমই কয়েকটি প্ল্যাটফর্ম হলো ফেসবুক, ইউটিউব। বিশেষ করে করোনার সময় থেকেই ইউটিউবে ভিডিও বানিয়ে উপার্জন করার চিন্তা করছেন অনেকেই। কেউ রান্নার ভিডিও, কেউ মজার জোকস কেউ নাচ আবার কেউ মোটিভেশনাল স্পীচ দিচ্ছেন। তবে এভাবে আমরা অনেক মানুষের কাছ অবধি পৌঁছে যাচ্ছি।

তাঁদের জীবন কেমন কাটে জানতে পারছি। আর ঠিক তেমনি এক যুবকের গল্প পাওয়া গেলো সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই যুবক ওপার বাংলার মানুষ। নাম মিরাজুল ইসলাম। মিরাজুলের বাড়ি ওপার বাংলার পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের যাত্রাপুর গ্রামে। আর তার জীবনের সব চেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হলো জন্ম থেকেই তাঁর দুটি হাত নেই। কিন্তু, জীবনযযুদ্ধে কখনও ভয় পাননি তিনি। পা দিয়েই শুরু করেন লেখা। তাঁর মা তাঁকে সাহস যোগায়।

কিন্তু তার জীবনটা অনেকটাই কঠিন ছিল। মিরাজুল পড়াশোনার জন্য স্কুলে ভর্তি হতে গিয়ে প্রথম প্রথম অনেক সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। কিন্তু তিনি হল ছাড়েন নি, তিনি এভাবেই ঠিক প্রাথমিক, উচ্চপ্রাথমিকের গন্ডি পার হন। মিরাজুল কিন্তু এতেই থেমে থাকতে রাজি হননি। তিনি চেয়েছিলেন সামনের দিকে এগিয়ে যেতে। আর সেই লক্ষ্যেই অর্থনীতিতে স্নাতক স্তরে ভর্তি হন। কিন্তু সেখানেও বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় তাদের আর্থিক অবস্থা।

আরো পড়ুন: অজানা কথা! ভাইয়ের সঙ্গেই বি’য়ে’র বন্দোবস্ত করেছিল পরিবার, দেশীয় এই রাজকন্যার ধ’র্ম মা রানী ভিক্টোরিয়া

ভাই বোন দের মধ্যে ছোটো হলেও বাবার পেশা ছিল চাষবাস তাই বাবা বিশেষ খরচ করতে পারতেন না। পরিবারের অভাব কাটাতে তাই তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি ইউটিউবে ভিডিও বানাতে শুরু করেন। আর এখানেই তিনি সাফল্য পান। আজ তাঁর মাস প্রতি ৫০০০০ টাকা ইনকাম রয়েছে। তার জীবনের মোর এই ভাবেই ঘুরে যায়। এখন সে একজন সফল ইউটিউবার।

পা দিয়ে ক্যামেরা ধরেন তিনি। এভাবে ভিডিও বানান। শুধু তাই নয় এখন তাঁর স্ত্রী ও এক সন্তান আছে। ওপার বাংলার সংবাদ মাধ্যম প্রথম আলো থেকে তাঁর স্ত্রী কে জিজ্ঞেস করলে সে জানায়, স্বামী হিসেবে ও অত্যন্ত ভালো। সব কাজে আমাকে অত্যন্ত সাহায্য করে, সংসারে সময় দেয়। মিরাজুল খুব ভালো রান্নাও করতে পারে।”

এছাড়াও মিরাজুল অনেক সামাজিক কাজ করেন। নিজের একটা অনাথাশ্রম খুলেছেন সেখানের সব ব্যায় ভার তিনিই মেটান। তাঁকে জিজ্ঞেস করলে সে তিনি জানান, তাঁর হাত নেই সেই জন্য দুঃখ না করে জীবনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য এগিয়ে গেছে। এভাবেই ভবিষ্যতে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে চান মিরাজুল শেষ পর্যন্ত।