সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

কোটিপতি দে’শে মি’ল’ছে না জল, ড্রোন ও লবণের সা’হা’য্যে বৃষ্টিপাত ঘ’টা’চ্ছে আরব আমিরশাহী

প্রবল জল সংকটে ভুগছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। এই মরু প্রদেশের মাটি খুঁড়লে তেল মেলে অঢেল। তবে সেখানে বৃষ্টিপাতের দেখা মেলে না। ভূগর্ভস্থ জলের মধ্যে লবণের পরিমাণ এত বেশি মাত্রায় থাকে যে বহুবার পরিশোধনের পর তা পানের যোগ্য করে তুলতে হয়। আর তা করতে প্রচুর অর্থ খরচ হয়ে যায়। বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে সুদূর আটলান্টিক থেকে জাহাজে করে হিমশৈল টেনে আনতে হয়। হিমশৈলের বরফ গলিয়ে পানযোগ্য জল সরবরাহ হয় সারা রাষ্ট্রে।

বিশ্বের এই অন্যতম উষ্ণ এবং শুষ্ক দেশে বৃষ্টিপাত প্রায় হয় না বললেই চলে। তবে এবার থেকে এই বৃষ্টিহীন রাষ্ট্রেও বৃষ্টিপাত হবে। ড্রোন হামলার মাধ্যমে কৃত্রিম উপায়ে বৃষ্টিপাত হবে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির উপর। ব্রিটেনের ইউনিভার্সিটি অব রিডিংয়ে ড্রোন ব্যবহার করে এই বৃষ্টিপাত ঘটানো হবে বলে জানা গিয়েছে। এই প্রকল্পের অন্যতম গবেষক মার্টেন অ্যামবাউম জানালেন, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির উপর যে মেঘ পুঞ্জিভূত হয়ে রয়েছে, তা থেকে ভালো বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আরব আমিরশাহির বৃষ্টি তৈরির বিজ্ঞান প্রকল্পের অধিকর্তা আল মাজরউয়ি জানালেন এই ড্রোনে ইলেকট্রিক চার্জ নির্গতকারী যন্ত্র রয়েছে। এই যন্ত্র মেঘের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়ে মেঘের মধ্যে উপস্থিত ধনাত্মক ও ঋণাত্মক আয়নের হেরফের ঘটিয়ে দেয়। ইলেকট্রিক চার্জ নির্গতকারী এই যন্ত্রটি মেঘের মধ্যে থাকা জলকণাগুলিকে কাছাকাছি নিয়ে আসে। এভাবেই ভারী জল কনা সৃষ্টি হয় এবং সেগুলি বৃষ্টি হয়ে ঝড়ে পড়ে।

এইভাবে কৃত্রিম উপায়ে বৃষ্টিপাত ঘটানোর জন্য ২০১৭ সালে দেড় কোটি ডলার ধার্য করেছিল আরব আমিরশাহি। ড্রোন হামলা ছাড়াও অবশ্য বৃষ্টিপাত ঘটানোর জন্য বিমান থেকে মেঘের উপর নুনের ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে মারা যায়। গ্রীষ্মকালে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির আল-হাজার পর্বতের উপরে মেঘ জমতে শুরু করে। তাই এই কৃত্রিম বৃষ্টিপাত ঘটানোর জন্য ওই সময়টাকেই উপযুক্ত হিসেবে ধরা হয়।