গত শনিবার মনিপুরের চুরা চাঁদপুরে হয় ভয়ানক জঙ্গি হামলা। এই হামলায় অন্যান্য জঙ্গিদের সাথে গুরুতর আহত হয় এক বাঙালি সেনা। পুজোর সময় গ্রামের বাড়িতে এসেছিল সুবীর পাল নামে ওই কর্মরত সেনা জয়ান। মায়ের সঙ্গে কথা হয়েছিল তার। পুজোর পরে কর্মস্থলে ফিরে গিয়েছিলেন তিনি। কোচবিহারের বাসিন্দা আসাম রাইফেলসে কর্মরত সুবীর পাল গত শনিবার জঙ্গি হামলায় হন গুরুতর জখম। শনিবার রাতেই এই খবর পৌঁছে যায় তার কোচবিহারের বাড়িতে। তারপর থেকেই এক প্রকার দুশ্চিন্তা গ্রাস করে সুবীর বাবুর পরিবারকে। দুশ্চিন্তায় দিন কাটে সুবীর বাবুর মা সহ পরিবারের সদস্যদের।
উল্লেখ্য, গত শনিবার মনিপুরের চুরা চাঁদপুরের অসম রাইফেলসের কমান্ডিং অফিসার বিপ্লব ত্রিপাঠীর কনভয় লক্ষ্য করে হামলা চালায়। ওই হামলায় মৃত্যু হয় বিপ্লব ত্রিপাঠী ও তার স্ত্রী-পুত্রসহ মোট সাতজনের। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন এই রাজ্যের মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা সেনাকর্মী শ্যামল দাস। ওই কনভয়ের দায়িত্বে ছিলেন সুবীর পাল, যিনি গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন।
জানতে পারা যায়, সুবীর বাবুর ডান হাতে গুলি লেগেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংজ্ঞাহীন অবস্থায় রয়েছেন এই আহত সেনা জওয়ান। কোচবিহারের বাড়িতে সুবীরবাবুর স্ত্রী দুই মেয়ে ছাড়াও রয়েছেন তার বাবা দাদা এবং মা। আহত হওয়ার খবর পেয়ে রীতিমতো দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন সকলে। তবে এই মুহূর্তে আহত ছেলের পাশে দাঁড়ানোর কোনো পরিস্থিতি নেই তাদের। তাই আপাতত সুবীরবাবুর দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য অপেক্ষা করে রয়েছেন সকলে।
এই প্রসঙ্গে সুবীরবাবু দাদা জানিয়েছেন, মাধ্যমিক পাস করার পরই আসাম রাইফেলসে যোগ দিয়েছিলেন তার ভাই। দুর্গাপুরে প্রশিক্ষণ নেওয়ার সময় হাবিলদার প্রতি চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। ভাইয়ের আহত হওয়ার খবর পাওয়ার পর থেকেই রীতিমতো দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে তাদের। উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন সুবীরবাবুর মা এবং স্ত্রী।