সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

মাত্র ২০ টা’কা’য় কান পরিষ্কার করতে গিয়ে বি’রা’ট ঝা’মে’লা’য় পড়লেন যুবক, কানে গুঁ’জে দেওয়া হলো এমসিল!

বেশিরভাগ মানুষই অভ্যাসবশত বা অস্বস্তির কারণে প্রতিদিন অথবা মাঝেমধ্যে কান পরিষ্কারের তাগিদ অনুভব করেন।অনেকে আবার কটনবাডও ব্যবহার করেন। বিশেষজ্ঞ দের মতে কটনবাড ব্যবহারের কারণে কানে সংক্রমণ ঘটতে পারে। সেখান থেকে ব্যথা, পুঁজ ইত্যাদি জটিলতা তৈরি হতে পারে। এছাড়া কটনবাডস ব্যবহারের সময় অসাবধানতা বশত অনেকের কানের পর্দায় আঘাত লাগে, ফলে কানে শুনতে সমস্যা হয়।

আবার অনেকের কানের ভেতরে তুলা আটকে যায়, পরে তা বের করতে আবার দৌড়াতে হসপিটালে। অন্যদিকে,পথেঘাটেও মাঝে মধ্যেই দেখা যায় ‘কান সাফাইকারী’দের।২০-৩০ টাকার বিনিময়ে তথাকথিত ‘যত্ন’ করে কান পরিষ্কার করে দেয় এরা।তবে এদের থেকে কান পরিষ্কার করা কখনই যুক্তিযুক্ত নয়।

পেশাদার ‘কান সাফাইকারী’দের কাছে কান পরিষ্কার করার খেসারত দিচ্ছেন পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ার কোঁয়ারা গ্রামের বাসিন্দা তমাল প্রামাণিক। তমাল প্রামানিক পেশায় পিকআপ ভ্যান চালক। তার বাড়িতে রয়েছেন বৃদ্ধা মা, স্ত্রী ও এক মেয়ে। সূত্রে খবর বুধবার ভাড়ার আশায় রোজকার মত কাটোয়ার সিঙ্গির মোড়ে ভ্যান নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি।

আরো খবর: পাকিস্তানের সঙ্গে ক্রিকেট খে’ল’তে রা’জি ভারতীয় ক্রিকেট টিম, ত’বে শ’র্ত একটাই….

বেলা প্রায় দুটো নাগাদ তিনি লক্ষ করেন এক ব্যক্তি কাঁধে ব্যাগ নিয়ে হাঁক পাড়ছেন, “কান পরিষ্কার করবেন?” তমালবাবু কান পরিষ্কার করতে শুরু করেন ওই ব্যক্তির কাছে। কান পরিষ্কার করার নাম করে ওই ব্যক্তি তমাল বাবুর কানে এম সিল গুঁজে দেন বলে অভিযোগ। তমালবাবুর জানিয়েছেন, “তখন কিছু বুঝতে পারিনি। কান পরিষ্কার করার পর ওই ব্যক্তি বলে, এখনই হাত দেবেন না। পনেরো মিনিট পরে একাই খুলে যাবে।”

সূত্রে খবর ঘন্টাদুয়েক পর তার বা’কান ভারী হয়ে আসে। যন্ত্রণার পাশাপাশি মুখও ফুলে যায়।চিকিৎসার জন্য গেলে, ডাক্তারবাবু ভাস্করজ্যোতি বর্মণ জানান যে কান পরিষ্কার করার সময় খোঁচাখুঁচিতে রক্তক্ষরণ শুরু হয়েছিল। সেই রক্তক্ষরণ ঢাকা দিতেই কানে এমসিল গুঁজে দিয়ে পালিয়ে যায় সেই ব্যক্তি।

এমসিল টি বের করতে বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে অস্ত্রোপচার হয় কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে। ভাস্করজ্যোতিবাবু ও অ্যানাসথেসিষ্ট পার্থ সাহা তাদের বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় ওই আঠা বের করেন। তবে তমাল বাবুর কানের পর্দা নষ্ট হয়ে গিয়েছে।বর্তমানে কাটোয়া হাসপাতালেই ভর্তি রয়েছেন তিনি।