সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

কেন্দ্রের ব’ঞ্চ’না’র শি’কা’র রাজ্য, একথা মানুষের দুয়ারে দুয়ারে প্রচার করার নি’র্দে’শ মমতার

পঞ্চায়েত নির্বাচন আসন্ন হয়তো সামনের মে মাসেই হতে পারে পঞ্চায়েত ভোট তাই সমস্ত দল এখন উঠে পড়ে লেগেছে নিজেদের দলকেই শ্রেষ্ট দল প্রমাণ করতে। আর তাই ইতিমধ্যেই আমাদের শাসক দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর মতো করে প্রচার করা শুরু করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। কেন্দ্রের ১০০ দিনের কাজ ও আবাস যোজনায় কেন্দ্রীয় বঞ্চনাকে হাতিয়ার করে বাড়ি বাড়ি যাওয়ার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাতেই বিজেপি চাপে পড়তে চলেছে বলে সূত্রের খবর।

বর্তমানে এই রাজ্যে চলছে দুয়ারে সরকারের কর্মসূচি আর এর মধ্যেই এই কেন্দ্রীয় বঞ্চনাকে আরো বেশি করে মানুষকে বোঝাতে চান মুখ্যমন্ত্রী। তাছাড়া গত চারদিনের সফর শেষে মুখ্যমন্ত্রী দিঘা থেকে কলকাতায় ফিরেছেন। ফেরার আগে দলের নেতাদের সঙ্গে দেখা করে জনসংযোগ বৃদ্ধি ও কেন্দ্রীয় বঞ্চনাকে ইস্যু করে এলাকায় যাওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।

মুখ্যমন্ত্রী দিঘা থেকে কলকাতায় ফেরার সময় তমলুক ও কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র এবং তরুণকুমার মাইতি –সহ অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। তখন তিনি তাঁদের নির্দেশ দিয়েছেন,কেন্দ্রের বঞ্চনা মানুষের দুয়ারে নিয়ে যান। ইচ্ছাকৃতভাবে টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার বলেই গ্রামীণ মানুষ কাজ করেও টাকা পাচ্ছেন না।

আরো খবর: অনলাইন পার্সোনাল লোন App-র রমরমা এবার ক’ম’বে, ক’ড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে Google

আর সেখানে রাজ্য সরকার বিকল্প কাজ দিয়ে মানুষের হাতে টাকা তুলে দিচ্ছেন। শুধু তাই নয় নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক তৃণমূল কংগ্রেসের এক জেলার নেতা বলেন, ‘‌এটা শুধু কোনও একটি জেলার ক্ষেত্রে নির্দেশ নয়। প্রতিটি জেলার নেতৃত্বকে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা তুলে ধরতে বলা হয়েছে। মানুষের বাড়িতে গিয়ে সেটা তথ্যপ্রমাণ দিয়ে বলে আসতে হবে। তাছাড়া এটা তো সত্যি কথা। মিথ্যে তো আর নয়।

সত্যিটাই তুলে ধরা হবে মানুষের দরবারে।’‌ দফায় দফায় কেন্দ্রীয় টিম এসে ঘুরে গেলেও মানুষের কোনও উপকার হয়নি। কেন্দ্রের আর্থিক বঞ্চনার বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করতে বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিষয়ে তমলুক সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তথা বিধায়ক সৌমেন মহাপাত্র বলেন, ‘‌কেন্দ্রের বঞ্চনার কথা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

নেত্রীর নির্দেশে দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। কলকাতায় ডেকে সেখানে রাজ্য নেতৃত্ব আলোচনা করবে। ১০০ দিনের কাজ ও আবাস প্লাসে কেন্দ্রীয় সরকারের বরাদ্দ আটকে দেওয়ায় লাখো লাখো মানুষ সমস্যায় পড়েছেন।’‌

বিরোধী পার্টিরাও তৃণমূলের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে একের পর এক টিএমসি নেতারা আজ জেলে সেটাকে তারাও হাতিয়ার করে তাদের মত প্রচার চালাচ্ছেন। শেষ অব্দি ভোটে কি হয় সেটাই এখন দেখার।