মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের কয়লা পাচার এবং গোরু পাচার নিয়ে সিআইএসএফ এবং বিএসএফ এর দিকে আঙুল তোলেন। তিনি বলেন, রাজ্যে কয়লা মামলায় সিআইএসএফ এবং গোরু সামলায় বিএসএফ। তাই এতে তাদের কিছু করার নেই।
আর এবার বিএসএফ কর্তা মুখ্যমন্ত্রীর এই অভিযোগ উড়িয়ে পা’ল্টা তো’প দাগলেন। এই প্রসঙ্গে মুখ খোলেন সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর ডিআইজি সুরজিৎ সিং গুলারিয়া। তাঁর পা’লটা তো’প, বাংলাদেশ থেকে যদি সীমান্ত পথে বাংলায় অ’স্ত্র পা’চা’র হয়ে থাকে তাহলে সেই খবর বিএসএফকে কেন জানায়নি রাজ্য পুলিশ?।
অ’স্ত্র পাচার নিয়ে মুখ খুললেও গোরু পাচার নিয়ে কিছু বলতে শোনা যায়নি সীমান্ত বাহিনীর কর্তাকে।এদিন গুলারিয়া বলেন, ভিনরাজ্য থেকে অ’স্ত্র পশ্চিমবঙ্গে পা’চা’র হয়ে থাকলে তার দায় কোনও মতেই বিএসএফ এর উপর বর্তায় না।
আরো পড়ুন: মিঠায়কে ঘোল খাওয়াতে হা’জি’র “টুম্পা অটোওয়ালি”, ভাইরাল প্রো’মো’র জ’ম্পে’শ ভিডিও
বাংলাদেশ থেকে অ’স্ত্র ভারতে এসে থাকলে খবর থাকা সত্ত্বেও সেই তথ্য কেন সীমান্ত রক্ষা বাহিনীকে জানায়নি রাজ্য পুলিশ? রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেও ভারত থেকে বাংলাদেশে অ’স্ত্র পা’চা’রে’র ক’থা স্বীকার করেছেন বিএসএফ এর ডিআইজি।
পাচার হতে যাওয়া ২৪ টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ২৮ টি কার্তুজ গত বছর সীমান্ত এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল বলেও জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী এবং সেনাকর্তার মধ্যের এই চাপান উতোরে কার্যতই অন্য রঙ দেখছে পর্যবেক্ষক মহল। গোরু পাচার এবং কয়লা পাচার মামলায় নাম জড়িয়েছে মুখ্যমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ অনুব্রত মণ্ডলের।
বারবার সিবিআইয়ের তলব এড়িয়ে গেলেও এবার বেশ পাকেই পড়েছেন মমতার অন্যতম ভরসার কেষ্ট। তাঁর রক্ষাকবচের আবেদন খারিজ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। এহেন পরিস্থিতিতেই আবারও ৬ এপ্রিল নিজাম প্যালেসে ডাক পড়েছে অনুব্রতর। এবার সেই তলব এড়ালে ক’ড়া আইনী পথেই হাঁটবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল তা একপ্রকার স্পষ্ট।