বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স বা ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) দিন রাত ভারতের সীমানা পাহারা দেয়। ১৯৬৫ সালের ১ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয় এই সংস্থা। দেশের জন্য নিজেদের প্রাণ বলিদান দিতে দুবার ভাবে না তারা। জীবন – মৃত্যুকে পায়ের ভৃত্য করেই এদের পথ চলা। কিন্তু এই বিএসএফ দের বিরুদ্ধে বরাবরই তোপ দাগেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী।
এর আগে গরু পাচার কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিএসএফ-এর বিরুদ্ধে সুর চড়াতে দেখা গিয়েছিল। আবারও নির্বাচনের প্রাক্কালে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মমতা। স্থানীয় থানার ওসির পাশাপাশি স্থানীয় ক্লাবগুলিকে বিএসএফ-এর গতিবিধির ওপর নজরদারির ‘দায়িত্ব’ দিয়েছেন তিনি।
এই নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে চরম বিতর্কর। মমতা ব্যানার্জী বরাবরই অভিযোগ জানিয়ে আসছেন যে এই বিএসএফ কে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কাজে লাগাচ্ছে বিজেপি। এই দিন আবারও প্রশসনিক বৈঠকে মমতা অভিযোগ করেন,” গ্রামে গ্রামে ঢুকে সাধারণ মানুষদের প্রতি অত্যাচার চালাচ্ছে বিএসএফ।
আরো খবর: মাত্র ১০ বছরেই মাধ্যমিক পাশ! রে’ক’র্ড গড়লো উত্তরপ্রদেশের কিশোর
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিএসএফ-এর ‘তৎপরতা’ বাড়তে পারে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা পুলিশের দায়িত্ব, বিএসএফ-এর নয়।” অন্যদিকে গত বুধবার, অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকা কর্মতীর্থগুলি স্থানীয় ক্লাবের হাতে তুলে দেওয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছিল নবান্নের প্রশাসনিক বৈঠকে।
বিরোধীদের দাবি পঞ্চায়েত ভোটের আগে ক্লাবগুলোকে হাত করতেই এই নতুন উদ্যোগ। রাজনৈতিক স্বার্থে তাদের ব্যবহার করতে চাইছে রাজ্যের শাসক দল। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বিরোধীদের কটাক্ষ করে বলেন, ‘ক্লাবের অর্থ হল স্থানীয় সংগঠন।
এগুলি সমাজের একটি অবিচ্ছিন্ন অংশ। বিএসএফ নিয়ে ভারতীয় হিসেবে আমিও গর্ব বোধ করি। তবে সম্প্রতি বিএসএফের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ উঠেছে, তারই প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেছেন। বিএসএফ-এর বিরুদ্ধে তিনি কোনও যুদ্ধ ঘোষণা তো করেননি।’