দলনেত্রী মমতা ব্যানার্জীর ধমক খেয়েছেন মহুয়া মৈত্র ইন্ডোর স্টেডিয়ামে, আর তার পরেই তিনি একটি স্যোশাল মিডিয়ায় পোস্ট শেয়ার করেছেন যেখানে তিনি বলেছেন , দলনেত্রীর নির্দেশ পালনের কথা। তবে সেই পোস্টে উল্লেখ রয়েছে যে করিমপুরের ব্যাপারে মুর্শিদাবাদ সাংসদের কথাও তিনি বলেছেন, যেখানে তিনি লিখেছেন তিনি করিমপুরের বাসিন্দা ও তিনি সেখানেই থাকবেন। তাহলে এবার প্রশ্ন উঠেছে যে তিনি কি মমতা ব্যানার্জীকে সরাসরি কোনো বার্তা দিতে চাইছেন না তার কথার মান্যতা দিচ্ছেন এই পোস্টের মাধ্যমে।
গতকাল বৃহস্পতিবার তৃণমূলের কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি আর সেখানেই রোষের মুখে পরতে হয় তাকে। মমতা ব্যানার্জী সরাসরি মহুয়া মৈত্রকে জানায় তোমার করিমপুর জায়গা নয়। ওটা আবু তাহের দেখে নেবে। তুমি তোমার লোকসভা নিয়ে থাকো। এতেই বোঝা যাচ্ছে এতদিন তৃণমূলের অন্দরমহলে যে এই নিয়েই কথা চলছিল সেটা স্পষ্ট।
আসলে বেড়া ডিঙ্গিয়ে অন্যত্র চলে যাওয়া এটা তৃণমূলের অন্দরমহল কিছুতেই ভালো চোখে দেখছে না। কৃষ্ণনগরের বেড়া ডিঙ্গিয়ে সে কেন করিমপুরের দিকে নজর দিচ্ছে সেটা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। তবে একটা সময় কিন্তু করিমপুরের বিধায়ক ছিলেন মহুয়া মৈত্র। তবে এখন তিনি কৃষ্ণনগরের বিধানসভা কেন্দ্রের সাংসদ।
আরো পড়ুন: মার্সিডিজে চড়ে BPL কা’র্ডে রেশন তুললেন যুবক! ভিডিও ঘি’রে বি’ত’র্ক
করিমপুরের মধ্যে মহুয়ার হস্তক্ষেপ যে কমে নি সেটা অনেক তৃণমূল নেতাই বলে থাকেন। সেই কথাই যখন দলনেত্রীর কানে গিয়ে পৌছায় তখন তিনি মহুয়াকে নিজের জায়গা চিনিয়ে দেয়।
মমতা ব্যানার্জীর ধমকের পরেই কিন্তু মহুয়া মৈত্র তার ফেসবুকে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আর সেখানেই তিনি জানিয়েছেন, তিনি কি কি কাজ করেছেন করিমপুরের জন্য। ২০১৬, ২০১৯ পর্যন্ত বিধায়ক থাকাকালীন তিনি কি কি কল্যাণ্মূলক কাজ করেছেন সেটাও পোস্টের মাধ্যমে বলেছেন।
সাংসদ হয়ে ওঠার পরেও তিনি করিমপুরকে একই ভাবে ভালোবেসেছেন ও তার জন্য কাজ করেছেন। তবে দলনেত্রীর কথা মতো এবার তিনি কৃষ্ণনগর লোকসভাতেই তিনি বেশি সময় দেবেন।
কিন্তু পোস্টের শেষে তিনি বলেছেন যে তিনি করিমপুরের ভোটার ও বাসিন্দাও সেখানকার। এই শেষের লাইন নিয়ে শুরু হয়েছে ফের জল্পনা, এখন দেখার বিষয় এই জল্পনার জল কতদূর গড়ায়?