বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকম মানুষের নানান কারণে নিজস্ব ব্যক্তিগত ভাবে কিছু অর্থের প্রয়োজন হয়ে থাকে এবং সেই প্রয়োজন মেটাতে যদি নিজের কাছে অর্থ না থাকে তবে সে ক্ষেত্রে ঋণ নেওয়ার একটি পরিকল্পনা করে প্রত্যেকেই।
যারা একান্ত ব্যক্তিগত কারনের ঋণ নিয়ে থাকেন সেই ঋিনকে ব্যক্তিগত ঋণ বলা হয়ে থাকে। ঋন গ্রাহক কোন ব্যাংকের কাছে কিছু বন্ধক রাখে এবং যার বিনিময়ে চড়া সুদে ব্যাংকের থেকে টাকা নেন।
তবে এইসব ঋনে যথেষ্ট চওড়া সুদ থাকে। ঋণ গ্রহীতা কত টাকা ঋণ নেবেন সেই ঋণের ওপর ভিত্তি করে সুদ সহ আসল প্রত্যেক মাসে ব্যাংকে ফেরত দিতে হবে। এবার আসুন জেনে নেই কোন কোন ব্যাংক গুলি খুব সস্তায় ব্যক্তিগত ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে।
ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক যেখানে ৮.৫০ শতাংশ থেকে ৯.০০ শতাংশ সুদের হারে লোন দিচ্ছে এই ব্যাংক। ঋণগ্রহীতারা প্রত্যেক মাসে ২০৫২ থেকে ২০৭৬ টাকা পর্যন্ত টাকা কিস্তিতে দিতে পারবেন।
এরপর আসছে আইডিবিআই ব্যাঙ্ক যেখানে ৯.৫০ থেকে ১৪.০০ শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়া হচ্ছে। প্রত্যেক মাসে ২১০০ থেকে ২৩২৭ টাকা পর্যন্ত ঋণ নেয়ার ইএমআই দিতে হবে।
পাঞ্জাব ব্যাংকে পার্সোনাল লোন এর ক্ষেত্রে সুদের হার ৯.৫০ থেকে ১১.৫০। এখানে প্রত্যেক মাসে ঋণগ্রহীতাকে ২১০০ টাকা থেকে ২১৯৯ টাকা পর্যন্ত সুদ দিতে হবে।
এরপর আজে এসবিআই ব্যাংক যেখানে সুদের হার ৯.৫০ শতাংশ থেকে ১৩.৮৫ শতাংশ। এই ব্যাংকে কিস্তিতে ইএমআই তে টাকা দেওয়ার পরিমাণ ২১০৫ টাকা থেকে ২৩১৯ টাকা পর্যন্ত।
আরো পড়ুন: ঘরের দেওয়ালে ওটা কি আ’ট’কে রয়েছে? কেউই উত্তর দি’তে পারলো না!
ব্যাঙ্ক অফ মহারাষ্ট্র সুদের পরিমাণ ৯.৪৫ থেকে ১২.৮০ শতাংশ পর্যন্ত। এখানে প্রত্যেক মাসে গ্রাহকরা ২০৯৮ টাকা থেকে ২২৬৫ টাকা পর্যন্ত কিস্তিতে ইএমআই দিতে পারবে।
ইউকো ব্যাংকের প্রত্যেক মাসের সুদের হার ১০.০৩ থেকে ১০.৫০ শতাংশ। এখানে প্রত্যেক মাসে ইএমআই দেওয়ার টাকার সংখ্যা হল ২১৩৯ থেকে ২১৫২ টাকা পর্যন্ত।
কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাংক এর সুদের পরিমাণ ১০.২৫ থেকে ২৪ শতাংশ পর্যন্ত। এখানে প্রত্যেক মাসের ইএমআই এর দরুন ২১৩৭ টাকা থেকে ২৮৭৭ টাকা পর্যন্ত দিতে হবে।
ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্ক এর সুদের পরিমাণ ১০.০০ থেকে ১১.০০ শতাংশ পর্যন্ত। এখানে প্রত্যেক মাসে বিএমআই এর দরুন ২১২৫ টাকা থেকে ২১৭৪ টাকা পর্যন্ত দিতে হবে।
ব্যাঙ্ক অফ বরোদা তে সুদের পরিমাণ ১০.০০ শতাংশ থেকে ১৫.৭ শতাংশ । এখানে মাসিক ইএমআই এর টাকা দিতে হবে ২১২৫ টাকা থেকে ২৪১১ টাকা পর্যন্ত।