সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ইউরোপের দিকে তা’কি’য়ে দেখুন, রাশিয়া থেকে তেল আমদানি ক’রা নিয়ে আমেরিকাকে ক’ড়া জ’বা’ব ভারতের

গতকাল ভারত ও আমেরিকার দুই দেশের প্রধান এর মধ্যে ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই বৈঠকে প্রধান বিষয় ছিল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ভারতের অবস্থান সম্পর্কে। কিন্তু ভারত-আমেরিকার কাছে কোন ভাবেই মাথা নত না করে পাল্টা আমেরিকাকে অন্য প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।

যদি লক্ষ্য করা যায় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর বিশ্বের প্রায় বেশিরভাগ দেশ রাশিয়ার সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। কিন্তু লক্ষ করলে দেখা যাবে ভারত কিন্তু ঠিক আগের মতোই সম্পর্ক রেখেছে রাশিয়ার সাথে। আর এই নিয়েই আমেরিকার মাথাব্যথা, ইতিমধ্যেই রাশিয়া থেকে তেল কিনেছে ভারত।

যা নিয়ে ভারত কে আক্রমণ করতে দেখা যায় আমেরিকার। শুধু তাই নয় নিজেদের প্রতিনিধি পাঠিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে দারুন হুশিয়ার দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ভারত এখন চুপ করে থাকার পাত্র নয়,ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবার এই বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি বলেছেন আমেরিকাকে উদ্দেশ্য করেই, ভারতের দিকে লক্ষ্য না করে আমেরিকা যেন ইউরোপের ঘনিষ্ঠ মার্কিন দেশ গুলির উপর নজর দেয়।

আরো পড়ুন: একই দিনে অবস্থান ব’দ’ল রাহু ও কেতুর, এই ৫ রাশির জাতকরা স’ত’র্ক থাকুন ১৮ মা’স

ইউরোপের বিভিন্ন দেশ রাশিয়ার সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ও বিভিন্ন কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। কিন্তু ভারত এই সুযোগে তুলনামূলক কম দামে তেল কিনেছে রাশিয়ার থেকে। দেশের মানুষের স্বার্থে কোনোভাবেই ভারত আপস করতে রাজি নয়। এই বিষয় আগেই স্পষ্ট করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

গতকাল এস জয় শঙ্কর ও রাজনাথ সিং মার্কিন প্রতিনিধিদের সঙ্গে গতকাল বৈঠক করেন। সেখানেই সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে মার্কিন বিদেশসচিব জানায়, রাশিয়া থেকে যাতে কোনো দেশ কোনো ভাবেই কিছু ক্রয় না করে‌।

কিন্তু এর পরেই রাশিয়া থেকে ভারতের তেল কেনা নিয়ে প্রশ্ন করলে, জানানো হয় ভারত ও রাশিয়ার সম্পর্ক বহুদিনের তবে আমেরিকা তার মিত্র দেশগুলো কে অনুরোধ জানিয়েছে, রাশিয়া থেকে যাতে কোনোরকম জ্বালানি না কেনা হয়।

এই কথার পরেই এস জয়শঙ্কর জানায় , ভারত এক মাসে রাশিয়ার কাছ থেকে যে পরিমাণ জ্বালানি আমদানি করে, ইউরোপের বিভিন্ন দেশ গুলি তার থেকেও কয়েক গুণ তেল আমদানি করে রাশিয়া থেকে। রাশিয়ার থেকে তেল কেনার পরিসংখ্যানের দিকেই যদি লক্ষ্য করা যায়, তাহলে আমি বলবো ভারতের চেয়ে ইউরোপের দেশগুলোর দিকে নজর দেওয়া উচিত আমেরিকার।